গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি::
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সালিশ বৈঠকে হামলায় ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান আহমদ বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। থানায় মামলা নং- ৫৭, (তারিখ: ২১/০৩/২০১৭ইং)।
মামলার আসামীরা হলেন, ১। লোকমান আহমদ (২২), পিতা- মৃত মকররম আলী, ২। জিয়াউর রহমান (২২), ছাত্রদল নেতা, পিতা- ফজলুর রহমান, ৩। শিপলু আহমদ (৩৫), বিএনপি নেতা, পিতা- ইসকন্দর আলী, ৪। ফজলুর রহমান (৫০), বিএনপি নেতা, পিতা- মৃত আব্দুল মালিক, ৫। শিপন ইসলাম (২৩), ছাত্রদল নেতা, পিতা- সাকিব উল্লাহ, ৬। রুমানুর রহমান (২৪), পিতা- আসাদ আমিন, ৭। আহমেদ রুবেল (২৫), পিতা- সুনাই মিয়া, ৮। সিতাব আলী (২৩), পিতা- জহির রায়হান, ৯। মোরশেদ সরকার (২৯), পিতা- আজম সরকার, ১০। কারিম উল্লাহ (২১), পিতা- রহমত উল্লাহ, ১০। আক্তার হোসেন বিলাল (৪০), পিতা- কেনাই মিয়া, সর্ব সাং- মিত্রিমহল, থানা- গোয়াইনঘাট, সর্ব জেলা- সিলেটসহ আরো অনেকে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বসত বাড়ির ৩ শতক জমি দখল করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা (মামলার বাদী) দেওয়ান আহমদ। কেন জমি দখল করলেন, এ ব্যাপারে দেওয়ান আহমদকে জিজ্ঞেস করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং ফজলুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম আলীর বাড়িতে ২০ মার্চ সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। সালিশ বৈঠকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সালিশ বৈঠকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান আহমদের সাথে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ৫ জন গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিক সালিশ বৈঠকে থাকা ব্যক্তিরা গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় পরদিন ২১ মার্চ ১১ জনের নামোল্লেখ করে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে দেওয়ান আহমদকে প্রাণে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করেন দেওয়ান আহমদ।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান আহমদের মামলার আসামীদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302