• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারে দু’পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ: পুলিশসহ ১৫ জন আহত

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৭, ২০১৭
বিয়ানীবাজারে দু’পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ: পুলিশসহ ১৫ জন আহত

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি::

 

বিয়ানীবাজারে সালিশ বৈঠকে দু’পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশ সহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। ১৬ আগষ্ট বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিয়ানীবাজার শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্তরের সামনে ইলেক্ট্রিক কাজের টাকা পরিশোধ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকে মুখোমুখি এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০নং মুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ইলেক্ট্রিক ঠিকাদার আনোয়ার হোসেনের সাথে প্রতিপক্ষ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের চাচাতো ভাই ও বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি, পৌরসভার নোয়াগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা কাজল মিয়ার সাথে ইলেক্ট্রিক কাজের ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

আনোয়ার হোসেন দাবি করছেন- ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি কাজল মিয়ার সাথে পাঁচ তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিংয়ের কাজ বাবত ১০ লক্ষ টাকা চুক্তি করা হয়। কাজ চলাকালীন সময়ে ২ কিস্তিতে কাজল মিয়া ৪ লক্ষ টাকা পরিশোধ করলেও বাকী ৬ লক্ষ টাকা তিনি পরিশোধ করেননি।

অপরদিকে কাজল মিয়া দাবি করেন, আনোয়ার হোসেন কাজ ঠিকঠাক মতো করেননি।

এই অবস্থায় টাকা উদ্ধারের জন্য দ্বিতীয় দফায় সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় সালিশ বৈঠকে কাজল মিয়া আনোয়ার হোসেনকে বাকী ৬ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার রায় ঘোষনা হয়। সালিশ বৈঠকে রায় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে আনোয়ার হোসেন গুরুতর আহত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে আসেন।

তখন দু’পক্ষের লোকের এলোপাতাড়ী হামলায় পুলিশ কনষ্টেবল জসিম উদ্দিন গুরুতর আহত হন। তাকে সিলেট পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে প্রতিপক্ষ কাজল মিয়া দাবি করেন, আনোয়ার হোসেনের লোকের হামলায় পুলিশ কনষ্টেবল জসিম উদ্দিন আহত হন।

এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ শিবলী আহমদ বলেন, আনোয়ার হোসেনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানার এসআই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেনকে ১ম আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন।

সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল ইসলাম, বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুস শুকুর, বিয়ানীবাজার ইলেক্ট্রিশিয়ান সমিতির সভাপতি হারি মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসিদ, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জামাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন ছাড়াও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।