একুশেনিউজ ডেস্ক:: সিলেট নগরীর টিলাগড়ে ছাত্রলীগ কর্মী তানিম খান হত্যা মামলায় ২৯ আসামীর মধ্যে রয়েছেন এক ছাত্রদল নেতাও। বুধবার রাতে তানিমের বন্ধু দেলোয়ার হোসেন রাহী বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় সিলেট মহানগরীর ২১নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলামকেও আসামী করা হয়েছে।
সিলেট সরকারী কলেজের ছাত্র তানিম জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রনজিত সরকার অনুসারি ছাত্রলীগ কর্মী। সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিল ও মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ অনুসারি ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি তানিমের সহপাঠীরা। হত্যা মামলায়ও আজাদের ভাতিজা সাজিদুর রহমান আজলাসহ তাঁর অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে। আসামীদের তালিকায় রয়েছে ছাত্রদল নেতা ফখরুলের নামও।
আভ্যন্তরীন কোন্দলে ছাত্রলীগ কর্মী খুন হওয়ার মামলায় ছাত্রদল নেতাকে আসামী করায় নিন্দা জানিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। অপরদিকে, রনজিত অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি ফখরুল ও তাঁর অনুসারী ছাত্রদল সন্ত্রাসীরা আজাদ অনুসারী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের সাথে তানিম হত্যাকান্ডে যোগ দেয়।
তাদের দাবি, ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীতে এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে তানিমকে হত্যা করা হয়। সত্যকে আড়াল করার জন্যে রনজিত সরকারের নির্দেশে তাঁর নাম আসামীর তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফখরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন রাহি বলেন, ৪ জানুয়ারিতে এমসি কলেজ ও টিলাগড় এলাকায় সংঘর্ষের জেরেই পরবর্তীতে তানিমকে হত্যা করা হয়। ৪ তারিখের সংঘর্ষে ফখরুলসহ তাঁর অনুসারী কিছু ছাত্রদল নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। তাই ফখরুলকেও মামলায় আসামী করা হয়েছে।
আর শাহপনার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, তানিম হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ আসামীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। তদন্তে উঠে আসবে হত্যাকান্ডে কারা জড়িত?
গত রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ৯টায় সিলেট নগরের টিলাগড় এলাকায় আধিপত্যের জের ধরে ছুরিকাঘাতে তানিমকে হত্যা করা হয়। তানিম সিলেট সরকারী কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার নিজ বুরুঙ্গা গ্রামের ইসরাইল খানের ছেলে।
এ ঘটনায় বুধবার (১০ জানুয়ারি) তানিমে বন্ধু দেলোয়ার হোসেন রাহি বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় আসামী করা হয় সিসিকি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের ভাতিজা সাজিদুর রহমান আজলা, শেখ মোতাছির আহমদ, জয়নাল আবেদিন ডায়মন্ড, ছাত্রদল নেতা ফখরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা আলী আহমদ, মাহিন, রুহেল আহমদ, আফজল মিয়া, জুনেদ আহমদ, দেওয়ান মুরাদ হাসান, বদরুজ্জামান সাগর, সৌরভ আর্চায্য, রাহাত, ফরহাদ, হাসান আহমদ, মিজানুর রহমান মিজান, রাহাত আহমদ, অনিরুদ্ধ মজুমদার পলাশ, সুমন মিয়া ওরফে পাখি সুমন, আরিফ আহমদ, রঞ্জন দে, বখতিয়ার আকরাম অনি, সজিবুর রহমান, কাউসার জামাল, এমদাদুল করিম ওমর, অদি অয়ন, জাকির হোসেন, সুমন দাস, তারেক আহমদ ও তজমুল আলীকে। এছাড়াও আরো ৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।