ডেস্ক রিপোর্ট::
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সোহেল আহমদ হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৯ জুন) নিহত সোহেল আহমদের পিতা সুমন আহমদ বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, অর্জুন চন্দ্র নাথ, রাজন চন্দ্র নাথ, রশিদ আহমদ, আবুল হোসেন, কালাম মিয়া, রুবেল ইসলাম, সুহেল রাজা, করিম উদ্দিন ও পংকজ দেবনাথ।
জানা যায়, গত ৬ জুন বড়লেখা বাজারে দলীয় কোন্দলের জেরে মাহদী গ্রুপ ও রশিদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ছিটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ঘটনায় পরদিন ৭ জুন সোহেল আহমদকে বড়লেখা বাজারের অর্জুন হোন্ডা সার্ভিসের সামনে পেয়ে রশিদ গ্রুপের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলে সোহেল আহমদ নিহত হন। এ ঘটনায় উক্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত সোহেল আহমদের পিতা সুমন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, অর্জুন ও তার ভাই রশিদের সাথে হাত মিলিয়ে আমার ছেলেকে তার দোকানের সামনে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। লাশ দাফন কাপন করে ও দলীয় নেতাদের সাথে পরামর্শ করায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়।
অর্জুনের পিতা গপেন্দ্র চন্দ্র নাথ বলেন, আমার ছেলেদের ফাঁসানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে রশিদের লোকজন সোহেলকে আমার ছেলের দোকানের সামনে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ দৃশ্য দেখে পেলে আমার ছেলে রাজন চন্দ্র নাথ। এজন্য সোহেলের পিতা সুমন আহমদ হত্যার মামলায় স্বাক্ষী হওয়ার জন্য আমার ছেলেকে চাপ প্রয়োগ করেন। প্রতিহিংসামুলক হত্যাকান্ডে সাক্ষী হতে আমার ছেলে অপারগতা প্রকাশ করলে অন্যদের সাথে আমার দুই ছেলের উপর এই হত্যাকান্ড ছাপিয়ে দেওয়া হয়।
মামলার ব্যাপারে বড়লেখা থানার ওসি মতিউর রহমান জানান, সোহেল হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302