বাঘার ডাক (গোলাপগঞ্জ) প্রতিনিধি:: সিলেট সদর উপজেলার ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের অবস্থিত নর্থ সুরমা একাডেমীতে সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে একাডেমীর গভর্নিং বডির জরুরী সভা চলাকালে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
হামলায় একাডেমীর শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুরাদপুরের গ্রামের বাসিন্দা আজমল আলী নেপুর মিয়া ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে ৪টি বাচ্চা একাডেমীতে ভর্তি করান। এসময় তিনি একাডেমীতে ভর্তির কোন ফি প্রদান করেননি। পরবর্তীতে দেওয়া হবে বলে ভর্তি করিয়ে দেন। একাডেমীর নিয়ম অনুযায়ী ওই ৪ শিক্ষার্থীকে একাডেমীর পক্ষ থেকে বই, সিলেবাস ও পাঠদান করানো হয়। এভাবে বার্ষিক পরীক্ষা চলে আসে। বেতন-ফি প্রদানের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা আজমল আলী নেপুর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি। এক পর্যায়ে একাডেমীর নিয়ম অনুযায়ী ওই ৪ শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত করা হয়। এর জের ধরে আজমল আলী নেপু মিয়ার পক্ষের লোকজন ওই হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে নর্থ সুরমা একাডেমীর পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আজমল আলী নেপুর মিয়া পরিকল্পিতভাবে তার একাডেমীতে হামলা চালিয়েছেন। তিনি আমার নর্থ সুরমা একাডেমী জোরপূর্বক দখল করতে চাইছিলেন। আমি এতে বাঁধা দিলে তিনি পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ৪ জন শিক্ষার্থী আমার একাডেমীতে ভর্তি করেন। ভর্তির সময় কোন বেতন-ফি জমা দেননি। বছর শেষে বেতন ফি চাইলে তিনি তার পালিত সন্ত্রাসী দিয়ে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালান। হামলায় ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানার ওসি আখতারুজ্জামান বলেন, খাদিমপাড়ায় একটি একাডেমীতে হামলা ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আজমল আলী নেপুর মিয়া নর্থ সুরমা একাডেমীর পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি ও মানহানীর মামলা করেছেন।
তবে নর্থ সুরমা একাডেমীর পরিচালক নাজিম উদ্দিন অভিযোগ করেছেন, ফোনে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ তাকে কোন সহযোগীতা না করে উল্টো তাকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়।