স্টাফ রিপোর্টার: গত রবিবার সন্ত্রাসী হামলায় যুবলীগ কর্মী ছালেক আহমদ নৃশংসভাবে সন্ত্রাসী হামলায় খুন হয়েছেন। রবিবার রাত ১১টায় মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের হাজরাই বাইপাস সংলগ্ন সড়কে সন্ত্রাসীরা তাকে খুন করে পালিয়ে যায়। নিহত ছালেক আহমদ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের ফজলু মিয়ার দ্বিতীয় পুত্র।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ছালেক আহমদ রবিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি যখন হাজরাই নামক স্থানে পৌছেন তখন তাকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। নিহত ছালেক আহমদের আত্ম চিৎকারে এলাকার কিছু যুবক ছুটে আসে তারা এসে দেখে ছালেক আহমদের রক্তাক্ত দেহ অজ্ঞান অবস্থায় পরে আছে। পথচারী লোকজন সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে নিহত সালেক আহমেদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। যুবলীগ এই কর্মী হত্যার ঘটনায় পুরো এলাকা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে স্হানীয় আওয়ামিলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই হামলা পরিকল্পিত। কারন যুবলীগ নেতা ছালেক আহমদকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে তাকে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে, আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
উক্ত ঘটনায় নিহত ছালেক আহমদের বাবা বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সবাই বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। এজাহার ভুক্ত আসামী হলেন কামাল হোসেন লিলু, মোঃ আব্দুল আহাদ, শামীম আহমদ, আবদুল লতিফ খান, কয়েছ আহমদ, ফয়জুল ইসলাম, জুনেদ আহমদ, আবদুল মান্নান, ইসলাম উদ্দিন, সাদিকুর রহমান বদরুল সহ দশজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ১২৫/১৯, জি.আর-১৯, দক্ষিণ সুরমা অফিসার ইনচার্জ খায়রুল ফজল জানান, খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।
জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা আব্দুল আহাদ খান জামাল অভিযোগ করেন যে, গত রবিবার সন্ত্রাসী হামলায় নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন যুবলীগ কর্মী ছালেক আহমদ। এই হত্যাকান্ডকে ভিন্ন দিকে নিয়ে দলীয় প্রভাবে বর্তমান সরকারের স্থানীয় নেতারা বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিয়েছেন। যে ঘটনার সাথে বিএনপির কর্মীদের বিন্দুমাত্র জড়িততার প্রমাণ নেই। তিনি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বিএনপির কর্মীদের আসামী করায় নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহার করার দাবী জানান। বিজ্ঞপ্তি।