• ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ইমরান হত্যা মামলার রায়: ১২ আসামীর ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
ইমরান হত্যা মামলার রায়: ১২ আসামীর ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

আদালত থেকে আসামীদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার::
সিলেটের বিয়ানীবাজারে আলোচিত ইমরান হত্যা মামলায় ১২ জন আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে রায় দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালত, সিলেট এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়া। গতকাল মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ইং দুপুর পৌণে ১২টায় এ রায় প্রদাান করেন বিচারক।

১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, আফরোজ মিয়া, নেছার আলী, মো. ফখরুল হক, নোমান হক, আলী হোসেন, নুরুল আলম, কোরবান আলী, কিবরিয়া আহমদ, তাজ উদ্দিন, হাসিম মিয়া, আরিফ চৌধুরী, আলী আব্বাস। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় প্রদানের সময় আসামীগণ এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। রায় প্রদানের সময় আদালতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে কড়া নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। মামলার শুরু থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. ফখরুল হক ও আরিফ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামী নোমান হক ও কোরবান আলী বিগত ২৭/১২/২০১৮ইং থেকে পলাতক রয়েছেন। পরে আসামীদের কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আসামীদের বিরুদ্ধে বিগত ২০/০১/২০১৬ইং তারিখে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন বিয়ানীবাজার থানার এসআই ফরিদ মিয়া। আসামীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালত বিচারের জন্য ১৪৩/১৪৭/১৪৯/৩০২/১১৪/৩৪ দন্ড বিধি ধাারায় চার্জ গঠন করেন।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, বিগত ২১/০৪/২০১৫ইং তারিখ বিকাল ৩টায় বারইগ্রাম মাছ বাজারে যাওয়া মাত্র ওৎ পেতে থাকা আসামীগণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইমরান এর উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখমী অবস্থায় মাটিতে ফেলে চলে যায়। উপস্থিত লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ইমরানকে বিয়ানীবাজার সরকারি হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন নিহত ইমরান এর পিতা আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১২ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরিদ মিয়া আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। বিয়ানীবাজার জি.আর মামলা নম্বর ছিল ৮৩/২০১৫ইং এবং দায়রা বিচারিক নম্বর ছিল ৩৬৩/২০১৬ইং।

রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালক করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের এপিপি সৈয়দ শামীম আহমদ এডভোকেট। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আব্দুল গফফার ও নজরুল ইসলাম। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়, ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করবো।