ছাত্রশিবির নেতা সৈয়দ আব্দুল হালিম মিফতা এর বাড়িতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলার দৃশ্য।
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: ওসমানীনগরে এক ছাত্রশিবির নেতার বাড়িতে হামলা চালায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। পরে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল রাতে সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানার খাগদিওর পূর্বপাড়া গ্রামের সৈয়দ আবু সাঈদের পুত্র ছাত্রশিবির নেতা সৈয়দ আব্দুল হালিম মিফতার বাড়িতে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শিবির নেতা সৈয়দ আব্দুল হালিম মিফতার সাথে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধিতা ও পূর্ব শত্রুতামি রয়েছে। শিবির নেতা সৈয়দ আব্দুল হালিম মিফতা সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিরোধিতা করে প্রচার প্রচারনা করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারবিরোধী মন্তব্য করেন। এমনকি তিনি বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন ও অশালীন মন্তব্য করেন। আর তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ফলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা দেখা দেয়। তখন ওসমানীনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাহফুজুল হায়দার জেহিন নামে একজনকে আটক করে। পরে ২৫/০২/২০২০ ইং এসআই মাহমুদুল হাসান মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন- সিলেটের কালিবাড়ি এলাকার মাহফুজুল হায়দার জেহিন, শিবগঞ্জ এলাকার আবুল হোসেন, একই এলাকার সারওয়ার হোসেন, ওসমানীনগর থানার খাগদিওর পূর্বপাড়া গ্রামের সৈয়দ আবু সাঈদের পুত্র ছাত্রশিবির নেতা সৈয়দ আব্দুল হালিম মিফতা ও সিলেট নগরীর কামরান মিয়া।
এদিকে, শিবির নেতা সৈয়দ আব্দুল হালিম মিফতা সরকার বিরোধী এমন কর্মকান্ডের জের ধরে গতকাল রাতে ওসামনীনগরে স্থানীয় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তার বাড়িতে হামলা চালায়। পরে আগুন লাগিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। আব্দুল হালিম মিফতার পিতা সৈয়দ আবু সাঈদ জানান, ছাত্রলীগ ক্যাডাররা বাড়িতে ঢুকে তার পুত্রকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে ক্যাডাররা আবু সাইদ ও তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাড়িতে ভাংচুর চালায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে টেনে হিচড়ে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ধামকি দিয়ে যায়, আব্দুল হালিমকে তাদের হাতে তুলে না দিলে যেখানে পাবে প্রাণে হত্যা করবে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মূসা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না। কেউ অভিযোগও করেনি। তবে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।