• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে জমি দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহত ১

admin
প্রকাশিত জুন ৯, ২০২০
জগন্নাথপুরে জমি দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহত ১

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ৮ জুন, সোমবার দুপুর ১২টায় জগন্নাথপুর উপজেলার ৫নং চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন বাউধরন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উভয় পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষে মনির মিয়া নামে এক ব্যক্তি মারা যান। তিনি একই গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর পুত্র ও এলাকার সালিশ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় বাউধরন গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আনর উল্লাহ একই গ্রামের মো. আকলু মিয়া সহায় সম্পত্তি দীর্ঘদিন থেকে দখল করে ভোগ করে আসছে। আকলু মিয়ার সন্তানরা বড় হলে এর প্রতিবাদ করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় আকলু মিয়ার ছেলে দবির মিয়া সহ বাকী ৪ ছেলে সোমবার দুপুর ১২ টায় আনর উল্লাহকে জমি দখল ছেড়ে দিতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আনর উল্লাহের পক্ষ ও আকলু মিয়ার পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আনর উল্লার ছেলে বন্দুক বাহির করে এলোপাতাড়ী গুলি করতে থাকে। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলে বাউধরণ গ্রামের সালিশ ব্যক্তিত্ব মনির মিয়া নিহত হন। এছাড়াও উভয় পক্ষের কয়েকজন লোক সংঘর্ষ টেকাতে গিয়ে আহত হন।

তবে, আনর উল্লাহ বলছেন- মনির মিয়া তার লোক। আকলু মিয়ার ছেলে দবির মিয়া গুলি করে মনির মিয়াকে খুন করেছে। এ ঘটনায় তিনি দবির মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আনর উল্লাহ জগন্নাথপুর থানায় আজকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে আকলু মিয়া ও গ্রামবাসীর স‚ত্রে জানা যায়, নিহত মনির মিয়া কোন পক্ষের লোক ছিলেন না। তিনি একজন সালিশ ব্যক্তিত্ব। তিনি উভয় পক্ষেকে সংঘর্ষ থামাতে এসেছিলেন। আনর উল্লাহ চলচাতুরী করে আকলু মিয়ার পরিবার সহ গ্রামের সহজ সরল লোকদের মামলা দিয়ে হয়রানির করার উদ্দেশ্যে ও তার ছেলেকে হত্যা মামলা থেকে বাঁচাতে মনির মিয়াকে তার দলের লোক বলে মামলা দায়ের করেছে।

এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম সুমন বলেন, মনির মিয়া হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আসামীকে করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন আনর উল্লাহ। তবে মনির মিয়া কার পক্ষের লোক তা এখনো স্পষ্ট হয়নি। পুলিশ তদন্ত করছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।