নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গুচ্ছগ্রাম থেকে দয়ারবাজার খেয়াঘাট লিজ দেওয়া হয় ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকায়। উপজেলার ভোলাগঞ্জ গ্রামের মো. আতাউর রহমান এ লিজ নেন। ১৪২৭ বাংলা সনের বৈশাখ মাস থেকে ১৪২৮ বাংলা সনের বৈশাখ মাস পর্যন্ত ১ বছরের এ লিজ প্রদান করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
সরকারের সব নিয়ম অনুযায়ী লিজ নিলেও ইজারাধীন স্থানে খেয়াঘাট না বসিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো সীমানা নির্ধারণ করে খেয়াঘাট চালিয়ে নিচ্ছেন। লিজে উলেখ রয়েছে- গুচ্ছগ্রাম থেকে দয়ারবাজার পর্যন্ত খেয়াঘাট বসানো হবে। কিন্তু আতাউর রহমান প্রভাব খাটিয়ে ১০ নম্বর এলাকা থেকে সাদাপাথর পর্যন্ত ফেরিঘাট বসিয়েছেন।
জানা যায়- গুচ্ছগ্রাম থেকে দয়ারবাজার পর্যন্ত খেয়াঘাটের লিজ ভ্যাটসহ ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। কিন্তু ১০ নম্বর এলাকা থেকে সাদাপাথর পর্যন্ত ফেরিঘাটের লিজমূল্য গুচ্ছগ্রাম থেকে দয়ারবাজার খেয়াঘাটের লিজমূল্যের দ্বিগুনও হতে পারে। যার ফলে সরকার এ ফেরিঘাট থেকে হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েই ফেরিঘাট চালাচ্ছেন লিজ গ্রহীতা মো. আতাউর রহমান।
ভুক্তভোগী এক নৌকার মাঝি জানান, ১০ নম্বর থেকে সাদাপাথরে আতাউর রহমানের অধিনস্থ ৪০টি নৌকা দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়। এর বাইরে কোন নৌকা যাত্রী আনা-নেওয়া করতে পারে না। ১০ নম্বর থেকে সাদাপাথর যাতায়াতে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতিটি নৌকা থেকে ৮’শ টাকা করে নেন আতাউর রহমান। কিন্তু নৌকার মাঝিকে ৩’শ টাকা করে প্রদান করেন। এদিকেও প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করছেন আতাউর রহমান।
জানা যায়- ঘাটের বাহিরেও বহিরাগত পর্যটকবাহী নৌকার কাছ থেকে ৪’শ-৫’শ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে ভোলাগঞ্জ-সাদাপাথর শ্রমজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. কয়েছ আহমদ বলেন, গত বছর এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি বরাবরে সমিতির পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। তিনি বলেন- গুচ্ছগ্রাম থেকে দয়ারবাজার পর্যন্ত নির্ধারিত খেয়াঘাট। কিন্তু ১০ নম্বর থেকে সাদাপাথর পর্যন্ত কোন খেয়াঘাট নেই।
গুচ্ছগ্রাম থেকে দয়ারবাজার খেয়াঘাট পর্যন্ত লিজ নিলেও তিনি ১০ নম্বর থেকে সাদাপাথর পর্যন্ত খেয়াঘাট চালাচ্ছেন বলে স্বীকার করেছেন লিজগ্রহীতা আতাউর রহমান। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশেই তিনি খেয়াঘাট ব্যবহার করছেন।
তবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসার সুমন আচার্য্য বলেন, প্রশাসন কোন অনুমতি দেয়নি। গুচ্ছগ্রাম থেকে দয়ারবাজার খেয়াঘাট লিজ দেওয়া হয়েছে। ১০ নম্বর থেকে সাদাপাথর পর্যন্ত খেয়াঘাট তৈরী করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খেয়াঘাটে দুর্নীতির খবর পেলে বা কেউ অভিযোগ করলে পুলিশ প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।