একুশে নিউজ:: জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি অত্যাধুনিক মানের হাই ফ্লো ন্যাজেল ক্যানুলা এবং ৩পিস ভিটাল প্যারামিটার অবজারবেশন ট্রলি প্রদান করেছেন ইউকে এনএইচএস এ কর্মরত অত্র কলেজের ১২জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
তারা হলেন, ২য় ব্যাচের ডা. খায়রুল ইসলাম ও ডা. আব্দুর রহিম, ৪র্থ ব্যাচের ডা. লাহিন চৌধুরী, ডা. শাহেদ হায়দার ও ডা. শাহেদুর রহমান, ৫ম ব্যাচের ডা. তামীম চৌধুরী, ৯ম ব্যাচের ডা. ফারহান আজাদ, ১০তম ব্যাচের ডা. শাকের চৌধুরী ও ডা. হোসনা আরা বেগম মিশি, ১১তম ব্যাচের ডা. সামীহা আহমেদ চৌধুরী, ১৩তম ব্যাচের ডা. আহমেদ শাহ মাসুম ও ১৪তম ব্যাচের ডা. আশীষ শ্রেষ্ঠা।
দাতাদের পক্ষে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম দাউদ এবং হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. তারেক আজাদ এর নিকট হস্তান্তর করেন অত্র কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইকিয়েট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম খালেদ, এনেস্থেসিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পরিমল কিশোর দেব তাপস, আইসিইউ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সৈয়দ ওহিদুল হক রাতুল, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুইজ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী লিজু প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ভাইরাস রোগ সংক্রমন প্রতিরোধের নিমিত্তে¡ গঠিত সমন্বয় কমিটির সদস্যবৃন্দ। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে উক চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
উলেখ্য যে, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অত্যাধুনিক মানের আরো ২টি হাই ফ্লো ন্যাজেল ক্যানুলা ক্রয় করা হয়েছে। যা বর্তমানে হাসপাতালে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তসহ অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
এখানে আরো উলেখ্য যে, কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়েও জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগ স্বাভাবিক সময়ের মত খোলা রয়েছে। ২৪ ঘন্টা ইমার্জেন্সী বিভাগ এবং এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু রয়েছে। ঠান্ডা, জ্বর, হাঁচি, কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য খোলা হয়েছে ফ্লু-কর্ণার। অত্র হাসপাতালে আগত রোগীদের হাত ধোয়ার জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অত্র হাসপাতালে ৪৫টি বেড সম্বলিত আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত ১০ই জুন থেকে অদ্যবধি ৫৫৭ জন করোনা সন্দেহজনক রোগী অত্র হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তন্মধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মধ্যে (সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে স্যাম্পল প্রদানের মাধ্যমে) ৮৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ১৯জন অত্র প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬৯জন সাধারণ রোগী। সোমবার (১৭ আগষ্ট) হাসপাতালে করোনা উপসর্গসহ ৫৭ জন রোগী ভর্তি আছেন।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302