নিজস্ব প্রতিবেদক:: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনের সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব রয়েছে। তাই সেই ভ্যাকসিন বাংলাদেশ কীভাবে সহজে পেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতেই পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা বাংলাদেশে এসেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধু। আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে ভারতের অংশগ্রহণ বিষয়েও আলোচনা হবে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দুই দেশের পারস্পরিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা সমাধানে আলোচনা হবে।
বুধবার (১৯ আগস্ট) সকালে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্থায়ী প্রতিকৃতি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সকাল ১০টায় তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির উদ্বোধন শেষে জাতির পিতাসহ ১৫ই আগষ্টে নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর মন্ত্রী চলে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মাজার জিয়ারতে। সকাল ১১টায় নগরীর মানিকপীড় টিলায় মাজার জিয়ারত করে কামরানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটের বিভিন্ন উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন। সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরের দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন, শাহপরাণ গেইট ও ফুটওভার ব্রীজ পরিদর্শন করেন তিনি।
এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও সিলেট আদালতের জিপি এডভোকেট রাজ উদ্দিন আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন সহ আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দ।