নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা “আগামীর সিলেট” নামক প্রকল্প দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। বুধবার বিকেলে সিলেট সিটি করোপরেশনের সম্মেলন কক্ষে এ প্রকল্প প্রদর্শন করা হয়।
মাল্টিমিডিয়ায় প্রকল্পটি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীর সিলেট’ আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে আমাদের। সিলেটকে একটি আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে সাজাতে এই গবেষণা কাজে লাগবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে কাজে লাগিয়ে সিলেটের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। এর জন্য আরো বেশি গবেষণা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রনয়ন প্রয়োজন।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সহযোগি প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ইন্সিটিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্সকেইপ এন্ড সেটেলমেন্ট “আগামীর সিলেট” নামে সিলেটের উন্নয়নের এই রুপকল্প উপস্থাপন করে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আগামীর সিলেট প্রকল্প উপস্থাপন করেন বেঙ্গল ইন্সিটিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্সকেইপ এন্ড সেটেলমেন্ট-এর রিসার্স এন্ড ডিজাইন বিভাগের প্রধান নুসরাত সুমাইয়া।
এসময় সিলেট নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির সাথে সাথে ভরাট হয়ে যাওয়া সুরমা নদী খনন ও নদী পাড় সংরক্ষনের গুরুত্ব তুলে ধরেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
আগামীর সিলেট শীর্ষক এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সিসিকের কাউন্সিলর-কর্মকর্তাগণ, নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, প্রকৌশলী সহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, আধ্যাত্মিক ও পর্যটন নগরী সিলেটকে পরিকল্পিত নগরি হিসেবে গড়ে তুলতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আগামীর সিলেট’ নামে একটি রূপকল্প নিয়ে ২০১৭ সালে সিলেট প্রদর্শনী করে।
সেই প্রকল্প’র নানা উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে নগরীর মাঝ দিয়ে বয়ে চলা সুরমা নদী সংরক্ষন ও সৌন্দর্য্যবর্ধন, হযরত শাহজালাল ও শাহপরান (রহ) মাজার কমপ্লেক্স, সিলেটের পুরাতন জেল ও ধোপাদিঘি পুনঃসংস্কার ও রূপান্তর, সুরমা রিভার ব্যাংক করভেন্শন সেন্টার, সহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চত্ত্বরের ট্রাফিক সিস্টেম উন্নয়ন, গণপরিবহন পরিকল্পনা, জলাশয় সংরক্ষন ও পায়ে হাটা রাস্তা বৃদ্ধির পরিকল্পনা ছিল।
বুধবার সিলেট সিটি করোপরেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রতিষ্ঠানটি “আগামীর সিলেট” প্রকল্প’র এসব পরিকল্পনার গবেষনা মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন।