বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের রফিক উদ্দিনের কিশোরী কন্যা রিমা বেগম (১৫) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় বাড়ির ভিতর বসতঘরের পেছনের বাগানে গাছের ডালের সাথে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ সিলেটস্থ মর্গে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, কিশোরী রিমা বেগম ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের রফিক উদ্দিনের কন্যা। ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে অন্যান্য দিনের ন্যায় খাবার শেষে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমাতে যায় রিমা। পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে ঘরের ভিতর দেখতে না পেয়ে খোঁজাখোঁজি শুরু করেন তার মা। এক পর্যায় বাড়ির ভিতরে ঘরের পিছনের বাগানে গাছের ডালের সাথে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। এ অবস্থা দেখে তিনি চিৎকার দিলে নিজ বাড়ির ও প্রতিবেশী লোকজন ছুটে আসে এবং থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পুলিশ জানায়, লাশের আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের পর গলাটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়, পরে তার লাশ গলায় ওড়না পেছিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর চূড়ান্ত ভাবে কারণ বলা যাবে।
নৃশংস এই ঘটনাটির সাথে কে বা কারা জড়িত তা শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। এলাকায় নানামুখি কানাঘুষা চলছে। নিহত কিশোরীর গোত্রিয় চাচাতো ভাই স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সুমন আহমদ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। এতে করে এই ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা নিয়ে লোকমুখে নানা কানাঘুষা শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায় বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেটস্থ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে চূড়ান্ত ভাবে জানা যাবে। তবে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল দেখে ধারনা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের পর গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হতে পারে এবং পরে লাশ গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে ইতিমধ্যে পুলিশ মাঠে নেমেছে।