• ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৩রা জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মাযহারুলের মৃত্যু

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
জগন্নাথপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মাযহারুলের মৃত্যু

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি : 
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. ফয়জুল ইসলামের ছেলে মাযহারুল ইসলাম এমরান অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। একই গ্রামের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত মাযহারুল ইসলাম বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ১২-৯-২০২০ইং তারিখে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় মাযহারুল ইসলাম এমরানের পিতা মো. ফয়জুল ইসলাম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি এজহার দাখিল করেছেন। ২৪ জন আসামীর নামোল্লেখ ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন তিনি। (নং-১১, তাং ১৪-৯-২০২০)।

মামলার আসামীরা হলেন বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সাহেল মিয়া (৩০), মৃত হাতেম উল্লাহ’র ছেলে মো. ছইল মিয়া (৬৫), মৃত শিকদার উল্লাহ’র ছেলে আব্দুল কদ্দুছ (৫০), মৃত রজব আলীর ছেলে মো. দবির মিয়া (৪০), মৃত ঠাকুর মিয়ার ছেলে মো. রায়হান মিয়া (৩২) মো. মনির উদ্দিনের ছেলে মো. মাহফুর আলম শাহেদ (১৮), মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে রানা মিয়া (৩৩), লাল মিয়ার ছেলে তোফায়েল মিয়া (২৭), মৃত আফিজ উল্লাহ’র ছেলে মো. আবু তাহের (৩৮), তারুজ আলীর ছেলে মো. মুহিবুর রহমান (২৩), মৃত রজব আলীর ছেলে আরজু মিয়া (৩৮), মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে লাহিন মিয়া (২৯), সরাছত উল্লাহ’র ছেলে দুলু মিয়া (৩৯), মখলিছ মিয়ার ছেলে রিমান মিয়া (২৬), ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে আলী নূর (২৫), মৃত রজব আলীর ছেলে হাসান মিয়া (৩৩), মৃত শায়েস্তা মিয়ার ছেলে সানু মিয়া (২৩), শফিক মিয়ার ছেলে বাবর মিয়া (৪০), মৃত আ: শহিদ’র ছেলে রুকন মিয়া (২৪), মো. ওয়াছিদ আলীর ছেলে মো. মনির উদ্দিন (৫১), তারজ আলীর ছেলে তামিনুর (২০), মৃত ওয়াব আলীর ছেলে রাজন (৩৪), জমসর মিয়ার ছেলে হাবিব (২৫) ও লাল মিয়ার ছেলে মুজাম্মিল (২০)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪-৯-২০২০ইং তারিখে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাযহারুল ইসলাম এমরান এরালিয়া বাজারস্থ রিংকু দেব ও পিন্টু দেবের দোকানের সামনে রুমান মিয়া, নাসির মিয়া, আজিজুল ইসলাম ও শফিক মিয়া নামের চারজনকে নিয়ে গল্প করছিলেন। এ অবস্থায় মামলার আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র তথা দা, কিরিচ, বাঁশের লাঠি, রড প্রভৃতি দিয়ে মাযহারুল ইসলাম এমরানের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আসামীরা যে যেভাবে পারে সেভাবে মাযহারুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করতে থাকে। হামলায় গুরুতর আহত মাযহারুল এসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আসামীরা মাযহারুল মারা গেছে ভেগে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মাযহারুলকে উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার পিতা ও স্বাক্ষীগণ। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলে মাহযারুলকে ৫-৯-২০২০ইং তারিখে বাড়িতে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে মাযহারুল ইসলামের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ৭-৯-২০২০ইং তারিখে আবারো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরমার্শ দেন। গত ৮-৯-২০২০ইং তারিখে মাযহারুল ইসলামকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ৮-৯-২০২০ইং তারিখ থেকে ১০-৯-২০২০ইং তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১০-৯-২০২০ইং তারিখ হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে বাড়িতে আসেন মাযহারুল ইসলাম। ১২-৯-২০২০ইং তারিখ তার অবস্থা বেশী খারাপ হলে জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রোগীর অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওইদিন রাত ১২টার দিকে ওসমানীতে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাযহারুলকে মৃত ঘোষণা করেন।