• ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় জাসদের ৭ নেতার ৩ বছরের কারাদন্ড, ৮ জন খালাস

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০

একুশেনিউজ প্রতিবেদক : সিলেটে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (জেএসডি)’র ১৫ নেতাকর্মীদের মধ্যে ৭ নেতাকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার জরিমানা এবং অনাদায়ে ২ মাসের সশ্রম সাজা এবং ৮ নেতাকে বেখসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং) দুপুরে ১২টায় সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর বিচারক জনাব আমিনুর রহমান এ রায় প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত জাসদের ৭ জন নেতাকর্মীরা হলেন, জাসদ সিলেট জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এখলাছুর রহমান মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, সিনিয়র সদস্য মাছরুর চৌধুরী, সিলেট মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, এমসি কলেজ শাখা জাসদের সমাজসেবা সম্পাদক এমরান হোসেন, এমসি কলেজ শাখা জাসদের সাধারণ সম্পাদদক দেলোয়ার হোসেন, জাসদ সিলেট মহানগর শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল হোসেন।

খালাসপ্রাপ্ত ৮ জন আসামীরা হলেন, সিলেট মহানগর শাখার প্রচার সম্পাদক সাদেক আহমদ, সদস্য সমীরণ রায়, সেলিম আহমদ, হিমেল আহমদ, সাঈদ আহমদ, সুহেল আহমদ, হাবিবুর রহমান, মদন মোহন কলেজ শাখার যুগ্ম সম্পাদক আবু সুফিয়ান মারুফ।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জাসদ সিলেট জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এখলাছুর রহমান মুন্না, নেছার আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন। তাদেরকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে পলাতক ছিলেন লোকমান হোসেন, মাছরুর চৌধুরী, এমরান হোসেন।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মাহফুজুর রহমান এপিপি এবং আসামীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট নজরুল ইসলাম ও এডভোকেট আবু তাহের।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, বিগত ২২/০২/২০১৩ইং তারিখে বিকাল ৪ ঘটিকায় জাসদের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিন্দাবাজার পয়েন্টে মিছিল সহকারে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশকে আহত করে। ঘটনাস্থল হতে পুলিশ জাসদের ৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেন। ঐ দিন রাতে পুলিশ বাদি হয়ে জাসদের ১৫ নেতাকর্মীতের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। যার থানার মামলা নং-১২ জিআর মামলা নং-৩৩/২০১৩ইং দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ বিগত ৩০/০১/২০১৫ইং তারিখে ১৪৩/১৮৬/৩০৭/৩৫৩/৪২৭/৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র নং-১০ দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে অত্র মামলা সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা ঘটনা সঙ্গে জড়িত ছিল তা প্রমান করতে সক্ষম হয়েছি, বিধায় আদালত প্রকৃত আসামীদের দোষী সাব্যস্থ করে রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।