নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ ক্যাডারদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার এমসি কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ এ তথ্য জানান। এর আগে দুপুর ১২টার মধ্যে কলেজ ছাত্রাবাসা ছাড়ার নিদের্শ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজ বন্ধ থাকলেও ছাত্রাবাস কেন খোলা ছিল এমন প্রশ্নে অধ্যক্ষ বলেন, কলেজের গরীর ও মেধাবী ছাত্রদের সুবিধার জন্য ছাত্রাবাস খোলা ছিলো। যারা টিউশনি ও ছোটখাটো চাকরি করে তাদের পড়াশোনার খরচ চালাতো।
তবে জানা যায়, গরীব ছাত্ররা থাকার কোন সুযোগই পায়নি। ধর্ষকরা তাদের অপরাধের অভয়ারন্য গড়ে তুলতেই ছাত্রাবাসে থাকতো। তাদের সুবিধার জন্যই ছাত্রাবাসটি চালু রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, কলেজ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরেই এমসি কলেজ ছাত্রাবাস দখলে নিয়েছে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা। তাদের নিজেদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে ছাত্রদের পাশপাশি তারা অনেক অছাত্রকেও প্রশ্রয় দেয়। মাদক সেবন ও ব্যবসা, জুয়ার আসর বসানোসহ নানা অপকর্ম চলে ছাত্রাবাসের ভেতরে। ছাত্রাবাসের ভেতরে অস্ত্রের মজুদ করে রাখারও অভিযোগ রয়েছে।
ধর্ষণ মামলার আসামীদের তথ্যেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। মামলার আসামী তারেক ও রবিউল বহিরাগত।
উল্লেখ্য: শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সাথে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী। এরপর দুজনকে মারধর করে স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। রাতে ছাত্রাবাস থেকে এই দম্পত্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী।
মামলায় এজহারনামীয় আসামীরা হলেন, এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302