একুশে নিউজ:: সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার পাঠানপাড়ার দক্ষিণ খান বাড়িতে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভুমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন মো.তোফাজ্জল খান নামের এক প্রবাসী। একইসাথে সালিশ বিচারের নামে পক্ষপাতমুলক ভূমিকারও অভিযোগ এনেছেন এক আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পাঠানপাড়ার দক্ষিণ খান বাড়ির তোফাজ্জল খান এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তোফাজ্জল খান উল্লেখ করেন তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থানের পর বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছেন। তারা ৫ ভাই ও ১ বোন। পিতার রেখে যাওয়া ভু-সম্পত্তি সকল ভাই ও বোন সমানভাবে অংশিদারিত্ব পেয়ে ভোগ করছেন। তবে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে প্রয়াত মা জয়গুন নেছা খানমের ক্রয় করা গোটাটিকর মৌজার অন্তর্গত চার দাগে মোট ৫০ শতক ভুমি নিয়ে । ঐভুমি মাতা জীবিত থাকাকালীন সময়ে অসুস্থ অবস্থার সূযোগ নিয়ে বড় ভাই গুলজার খান একটি দলিলে নিজের নামে করে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তোফাজ্জল খান।
সংবাদ সম্মেলনে তোফাজ্জল খান আরো দাবি করেন ঐ ৫০ শতক ভুমির উপর তাদের বশতবাড়ি। বর্তমানে গুলজার খান তাদের অপরাপর ভাই বোনকে ভুমি থেকে বিতাড়িত করার হীন অপচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরা হয়, নিজেদের মধ্যে বিরোধ নিস্পত্তি করতে সহযোগিতা তো দূরের কথা উল্টো আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার আর পদবীর অপব্যবহার করে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ২৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. ছয়েফ খান সালিশ বিচারের নামে পক্ষপাতমুলক ভুমিকা পালন করছেন। তিনি গুলজার খানকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন ও ন্যায় বিচাঁর থেকে থাকে বঞ্চিত করছেন।
তোফাজ্জল খান দাবি করেন তিনি ও তার আপন অপর বড় ভাই কাহির খান বর্তমানে জিম্মি দশায় রয়েছেন। আমরা দু-জনের বিরুদ্ধে গুলজার খান ও তার সহযোগি ইফতেখার খান,গুলফুর খান একের পর এক মিথ্যা সাধারণ ডায়েরি করে আসছেন। যার নং- ১৩৮৯,তারিখ ২৮/০৩/২০২০ ইং,মোগলাবাজার থানার নন এফআইআর নং-৪৫/২০২০ ইং। এতে বিবাদী করা হয়েছে আমাকে ও আমার বড় ভাই কাহির খান, তার স্ত্রী ও ছেলে ফাহিম। ইফতেখার খানের পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতা ছয়েফ খান ও গুলজার খান, গলফুর খান স্বাক্ষী হিসেবে মিথ্যা বয়ান প্রদান করেছেন। এছাড়া একেরপর এক পুলিশি হয়রানী অব্যাহত রেখেছেন।
বর্তমানে নিরুপায় হয়ে থানায় গিয়েও কোনো বিচার না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসেনর দৃষ্টি আকষর্ণ করছেন বলে দাবি করেন তোফাজ্জল খান। তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302