একুশে নিউজ:: দুই ধাপে ১৪ লক্ষ টাকা চেক ডিজওনার হওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুজ্জামানকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে আগামী ১ মাসের মধ্যে উক্ত টাকা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় নেগোটিয়েবল ইনস্টুমেন্ট অ্যাক্ট-১৮৮১ এর ১৩৮ ধারায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর মেন্দিবাগের মৃত রহমত উলার পুত্র মো. আব্দুল মালিকের পক্ষে উকিল নোটিশ প্রদান করেন সিলেট জজ কোর্টের এডভোকেট কাজল কান্তি পুরকায়স্থ।
উকিল নোটিশে উলেখ করা হয়- ২০১৯ সালের মে মাসে ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুজ্জামান ২ লক্ষ টাকা ধার চান আব্দুল মালিকের কাছে। এক বছর টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বস্থ প্রদান করলে আব্দুল মালিক ২ লক্ষ ধার দেন। এক বছর চলে গেলেও টাকা ফেরত দিতে কালক্ষেপন করেন নুরুজ্জামান। অবশেষে ২০২০ সালের ২৬ আগষ্ট নুরুজ্জামানের নামীয় ব্র্যাক ব্যাংক লি. এর একাউন্ট (যার নং- ৬৩০১২০০৯০৪৬২৪০০২) থেকে ২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। চেক নং- সিএলএ ১১১৩৩৬৫। ৩ সেপ্টেম্বর আইএফআইসি ব্যাংকে চেক জমা করলে অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স বলে চেক ডিজওনার করা হয়।
এর আগে- গত ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুজ্জামান ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা দিলে এক বছর পর ১৫ লক্ষ টাকা এক সাথে পাওয়া যাবে- এমন একটি লোভনীয় অফার দেন। এ অফার পেয়ে আব্দুল মালিক জুলাই মাস থেকে ২টি হিসাবের জন্য ২ লক্ষ টাকা জমা দেন। ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রতি ইংরেজি মাসে ২ লক্ষ টাকা করে জমা দিয়ে ২৪ লক্ষ টাকা হয়। জুলাই মাসে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন ওই রকম কোন অফার নেই। এমন প্রতারণার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুজ্জামান কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন এবং ২টি চেকে ২৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার আশ্বস্থ দেন। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর নুরুজ্জামানের নামীয় সাউথইষ্ট ব্যাংক উপশহর শাখার ০০১২২০০০১২২৯৭ নং হিসাবে ১২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান প্রদান করেন। পরদিন ১৪ অক্টোবর ব্র্যাংক ব্যাংকের ৬৩০১২০০৯০৪৬২৪০০২ নং হিসাবে আরো ১২ লক্ষ টাকার আরেকটি চেক প্রদান করেন। দুটি চেকই ডিজওনার হয়। পরে ২৬ নভেম্বর আব্দুল মালিক উকিলের মাধ্যমে ২টি নোটিশ রেজিষ্ট্রি প্রেরণ করে নোটিশ প্রাপ্তির ১ মাসের মধ্যে ২৪ লক্ষ টাকা পরিশোধের অনুরোধ প্রদান করেন। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি নুরুজ্জামানের পিতা এড. সৈয়দ আবু নছর সাউথইষ্ট ব্যাংক বন্দরবাজার শাখার ০০১২১০০০১৬৫৩৪ নং হিসাবে ১২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন (যার নং এসবি-৪০৩৭০৭৭)। ব্যাংকে গিয়ে আব্দুল মালিক ১২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। বাকী ১২ লক্ষ টাকা ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করে দেওয়ার আশ্বস্থ প্রদান করেন সৈয়দ নুরুজ্জামান। ৬ মাস পর নুরুজ্জামান তার নামীয় ব্র্যাক ব্যাংক এর ৬৩০১২০০৯০৪৬২৪০০২ নং চেকে ১২ লক্ষ টাকার চেক (যার নং-সিএলএ ১১১৩৩৬৬) প্রদান করেন। যা অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স বলে ডিজওনার হয়। এ ঘটনায় ১৫ সেপ্টেম্বর বাকী ১২ লক্ষ টাকা প্রদানের জন্য উকিল নোটিশ প্রদান করা হয়।
ব্যাংক কর্মকর্তাকে পাঠানো উকিশ নোটিশের সত্যতা নিশ্চিত করেন এডভোকেট কাজল কান্তি পুরকায়স্থ৷
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302