• ১৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

এসআই আকবরকে ধরতে ইমিগ্রেশনে পিবিআইয়ের চিঠি

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ১৫, ২০২০
এসআই আকবরকে ধরতে ইমিগ্রেশনে পিবিআইয়ের চিঠি

একুশে নিউজ ডেস্ক :: সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ি হেফাজতে রায়হান আহমদের (৩৪) মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত কাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ও তদন্ত স্বার্থে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া পলাতক রয়েছেন। তিনি যেন কোনোভাবেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে অবস্থিত পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন,‘সিলেটের ঘটনার ডকেট ((সাক্ষ্য-প্রমাণ ও তথ্যের নথি)) আমরা গত পরশুদিন রাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে সিলেটের পিবিআই টিম তিন থেকে চার ঘণ্টা ছিল। আমরা আমাদের তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিদর্শক আকবরকে আমাদের দরকার।’

তিনি বলেন, ‘এ কারণে সমগ্র ইমিগ্রেশনে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, আকবর যেন কোনোমতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে না যেতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সীমান্তের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টারে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আকবর যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে। তাকে ধরার জন্য আমরা টিম রেডি করেছি। তাকে আমাদের খুবই দরকার।’

ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার আরও বলেন, ‘আমাদের আইজিপি স্যার সবসময় বলেন, করোনার মধ্যে তোমরা যে সুনাম কামিয়েছ, আকাম করে এ সুনাম নষ্ট করো না। আকবর যেহেতু এই অপকর্ম করে বাহিনীর সুনাম নষ্ট করেছে এবং সে আমাদের কথা চিন্তা করে নাই, সুতরাং তার বিষয়ে কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই।’

‘১০ হাজার টাকার কারণেই কি এমন ঘটনা ঘটেছে’-এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছি। একদিনেই সবকিছু বলা যাবে না। তবে আমরা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কবর থেকে তার মরদেহ আবার উঠাব এবং তদন্ত করব।’

এদিকে সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিসবাহ উদ্দিন ও সজিব আহমদের নেতৃত্বে আখালিয়া এলাকার নবাবী মসজিদের পঞ্চায়েত গোরস্থান থেকে মরদেহটি তোলার কাজ শুরু করেন।

দুই ঘণ্টা পর মরদেহটি উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।