নিজস্ব প্রতিবেদক :: রায়হান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে বিল্লু দাস নামের এক সুইপারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নগরের কাস্টঘর এলাকার সুইপার কলোনি থেকে কচুয়া লাল বিজয়ের ছেলে বিল্লু দাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
আরেক সুইপার সুলাই লাল বলেন, এর আগে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়েছিল পিবিআই।
সুলাই লাল দাবি করেন, ঘটনার দিনগত রাতে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ দরজার শব্দ, তখন ঘুম ভেঙে গেলে দেখি রায়হান নামের একজন যুবক তার বাসায়। জিজ্ঞাসা করলাম কে ভাই আপনি। তখন দেখলাম ছেলেটি স্বাস নিঃশ্বাস নিতে এবং কথা বলতে পারছে না , এসব দেখার মধ্যে পুলিশ হাজির।
পুলিশ বাসায় প্রবেশ করে ও ছিনতাইকারী ওকে নিয়ে চল বলে ধরে নেয়ার চেষ্টা করে।রায়হান যেতে চাইছিল না এবং সে বলেছিল আমি ছিনতাইকারী না।আমিও ভয়ে কিছু বলার মতো সাহস পাচ্ছিলাম না।
এরপর ছেলেটিকে পুলিশ সুস্থ অবস্থায় আমার বাসা থেকে নিয়ে যায়। পরের দিন শুনি সে মারা গেছে ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে। একথা শুনে মনটা খুব খারাপ লাগছিল।
তিনি আরও বলেন, এখানে (কাষ্টঘর) কোনো গণপিটুনি হয়নি। আমি নিশ্চিত, পুলিশ ভালো অবস্থায় তাকে নিয়েছে।
উল্লেখ্য-গত রোববার (১১ অক্টোবর) ভোররাতে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক রায়হান। এ অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনার পর রোববার থেকে আকবর পলাতক রয়েছেন।
মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়। তদন্ত ভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর ও নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। বৃহস্পতিবার মরদেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত করা হয়।
এদিকে রায়হান হত্যার ঘটনায় এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সিলেট নগরীতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন এবং রাস্তা অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
একুশেনেট/শামীম
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302