• ১৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ সুরমায় নিরীহ মহিলার জায়গা দখলের চেষ্টা: ১৪৫ ধারা জারি

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৫, ২০২০
দক্ষিণ সুরমায় নিরীহ মহিলার জায়গা দখলের চেষ্টা: ১৪৫ ধারা জারি

ডেস্ক:: দক্ষিণ সুরমার নোয়াগাঁও গ্রামে এক নিরীহ মহিলা জায়গা দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে ভূমিখেকো একটি চক্র। এ ঘটনায় মৃত লতিফা বেগমের মেয়ে মোছা. রুসনা বেগম বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সিলেটে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং- ৩৮/২০২০।

 

মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা হলেন- দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার রেঙ্গা হাজিগঞ্জ বাজারের নোয়াগাঁও গ্রামের ইজ্জাদ আলীর পুত্র জাবেদ আহমদ রুহেল ও ইজ্জাদ আলী।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়- মামলার বাদী মোছা. রুসনা বেগমের মা লতিফা বেগমের দেখাশুনা করতেন মামলার প্রধান আসামী জাবেদ আহমদ রুহেল। এ সুযোগে রুহেল ও তার পিতা ইজ্জাদ আলী লতিফা বেগমের ৬ শতক জায়গা দখলের চেষ্টায় লিপ্ত হন। কিছুদিন আগে লতিফা বেগম মারা যান। এরপরই জাবেদ আহমদ রুহেল ও তার পিতা ইজ্জাদ আলী মোগলাবাজার থানার বনমালীপুর মৌজার জে.এল নং ১৯৩, বিএসডিপি খতিয়ান নং-৭১, বিএস দাগ নং- ৭২৭ এর মোট ২৬ শতক জায়গার মধ্যে ৬ শতক জমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। ৬ শতক জায়গা তাদের কেনা বলে দাবি করে তার জায়গার চারদিকে খোটা দিয়ে চিহ্নিত করেন।

 

এ খবর পেয়ে রুসনা বেগম গত ১৮ অক্টোবর ঘটনাস্থলে গিয়ে জায়গা দখলের বিরোধীতা করেন। এসময় রুহেল ও ইজ্জাদ তাকে হামলা, মামলা ও প্রাণে হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় রুসনা বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার প্রেক্ষিতে মোগলাবাজার থানার এসআই শাহীন কবির শনিবার (২৪ অক্টোবর) ঘটনা স্থলে গিয়ে ১৪৫ ধারা জারি করেন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষই জায়গায় না যাওয়ার নির্দেশ দেন। ১৪৫ ধারা জারির পরও রুহেল ও ইজ্জাদ জায়গা বিক্রি করে দেয়ার পায়তারা করছে বলেও জানা যায়।

 

মোগলাবাজার থানার এসআই শাহীন কবির এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশে ১৪৫ ধারা জারি করা হয়েছে।

 

মামলার বাদী মোছা. রুসনা বেগম জানান, আমার মা লতিফা বেগমকে দেখাশুনার করার সুযোগে মায়ের জায়গা দখলের চেষ্টা করছে জাবেদ আহমদ রুহেল ও তার পিতা ইজ্জাদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

মামলার অভিযুক্ত আসামী জাবেদ আহমদ রুহেল বলেন, জায়গাটি আমাদের কেনা। লতিফা বেগমের কাছ থেকে আমি কিনেছি।