একুশে নিউজ প্রতিবেদক:: আকবরকে সরাসরি পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাদের হাতে পৌঁছার আগে ভারতের খাসিয়ারা তাকে তুলে দিয়েছিল ৩৩/৩৪ বছর বয়সের এক ব্যক্তির হাতে। তার নাম রহিম উদ্দিন। বাড়ি কানাইঘাটের ডনা এলাকায়।
সোমবার রাতে চ্যানেলের সাথে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ও তার ৫ বন্ধুর হাতেই আকবরকে তুলে দিয়েছিল খাসিয়ারা। তার অপর সঙ্গীরাও এ কথা স্বীকার করেছেন।
রহিম জানান, সীমান্ত এলাকার মানুষ হিসাবে তার চেনা-জানা ছিল ওপারের খাসিয়াদের সাথে। গত ২দিন আগে তিনি আকবরকে ধরার মিশনে নেমেছিলেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রের নির্দেশে।
তবে তিনি বিষয়টি খুবই গোপন রেখেছিলেন। কারো সাথে এ বিষয়ে কিছু বলেন নি। এমনকি তার বিশ্বস্ত বন্ধুদেরও না। গোপনেই তিনি খাসিয়াদের সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন।
সোমবার সকালে ওপারের খাসিয়ারা আকবরকে বেঁধে নিয়ে আসে সীমান্তে। রহিমের সাথে তাদের যোগাযোগ হয়। তিনি বন্ধুদের নিয়ে দ্রুত পৌঁছে যান নির্ধারিত স্থানে। খাসিয়াদের কাছ থেকে নিজের কাছে নিয়েই তিনি জানান পুলিশকে। তারা ৯টার দিকে এসে দ্রুত আকবরকে নিয়ে যায়।
রহিম বলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। আকবরের বিষয়ে অন্য বন্ধুদেরও আগে কিছু জানান নি। তাকে নিজের হাতে পাওয়ার পরেও তার গায়ে হাত দেন নি।
আকবরের অপর সহযোগী আশুক জানান, তিনিও এ ব্যাপারে কিছু জানতেন না। রহিমের অনুরোধে গিয়েছিলেন সেখানে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার সময় জানতে পারেন এই সেই আকবর। রায়হানের ঘাতক। যাকে গত প্রায় ১ মাস ধরে খুঁজছিলেন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
এদিকে কুখ্যাত আকবর গ্রেপ্তারের নেপথ্য কারিগর হিসাবে রহিমের নাম এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা উল্লসিত বলেও জানিয়েছেন তার বন্ধু আশুকসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর নগরীর আখালিয়া নেহারীপাড়ার যুবক রায়হান আহমদকে ধরে নিয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতন করে রায়হানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য। পরদিন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
রায়হান ও তার সহযোগীরা প্রথমে গণপিঠুনিতে ছিনতাইকারী নিহত বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও তার স্ত্রী তান্নি পুলিশ হেফাজতে হত্যা আইনে মামলা দায়ের করেন। ১৩ অক্টোবর থেকে রায়হান পলাতক ছিলেন।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302