• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীমঙ্গলে আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৯, ২০২০
শ্রীমঙ্গলে আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

একুশে নিউজ প্রতিবেদক :: নবান্নের আমেজে আমন ধান কাটার ধুম লেগেছে মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ধান কাটা মাড়াই চলছে পুরোদমে। মাঠের সোনালী ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে এ অঞ্চলের কৃষকরা।
কৃষক ধান কেটে আঁটি বেঁধে অনেকেই কাঁধে করে, আবার অনেকেই বিভিন্ন যান বহনে করে বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছেন। বাসা বাড়ীর উঠানে চলছে আগামজাতের ধান মাড়াইয়ের কাজ। এসব ধান নিয়ে কৃষকের যেমন ব্যস্ততা তেমনী আনন্দ রয়েছে প্রচুর। অনেকের বাড়ীতে চলছে শীতের সকালে ভাপা পুলি, তেল পিঠা, ও নাড়– মুড়ির মুখরোচক খাবার।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই মৌসুমে ১৫ হাজার ৫শ ৬৫ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উফশি ১৫ হাজার ৩শ ১৫ হেক্টর, স্থানীয় জাত ২শ’১৫ হেক্টর, ও সুগন্ধি ব্রি-ধান ৩৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও মোট আবাদের হইতে অতি বৃষ্টি দমকা হাওয়ার কারনে আনুমানিক ১০ হেক্টর জমির ধান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলার আশীদ্রোন গ্রামের কৃষক মো: সালাম বলেন, আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এখনও আমন ধানের এই উৎসব চলে। এই দিন আসলে আমাদের মা-চাচিরা নানা আয়োজনে এই উৎসব পালন করেন।
কৃষক মো: রোমান মিয়া বলেন, আমার পাকা ধান কাটতে শ্রমিকদের দ্বিগুন টাকা দিতে হচ্ছে। কিন্তু ধান পাকা থাকায় শ্রমিকদের বেশি টাকা দিয়ে ধান কাটাছি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো: আলা উদ্দিন বলেন, এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় মাটি কিছুটা কাঁদা ছিল। যার কারনে দমকা হাওয়ায় প্রায় ১০ হেক্টর জমির ধান আংশিক পড়ে যায়। কৃষকরা জমিতে পটাশ সার পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার না করার কারনে গাছের ঘোড়া দূর্বল থাকে যার কারনে হালকা বাতাসে ও নরম কাঁদাযুক্ত গাছ হেলে পড়তে পারে।