একুশে নিউজ ডেস্ক:: মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর ৪০তম স্প্যান বসানো হতে পারে শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর)।
অনুকূল আবহাওয়া আর কারিগরি জটিলতা দেখা না দিলে এক দিনের মধ্যে স্প্যানটি স্থাপন করা সম্ভব হবে, এজন্য চলছে শেষ ধাপের প্রস্তুতিও।
স্প্যানটিকে দুই পিলারের ওপর স্থায়ীভাবে বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৬ কিলোমিটার। এরপর বাকি থাকবে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি স্প্যান বসানোর কাজ।
৪০তম স্প্যানটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে। ৩৯তম স্প্যান বসানোর আট দিনের মাথায় শুরু হয়েছে পরের স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম।
প্রকৌশলীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেনটি ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে বহন করে নিয়ে যাবে। এরপর ৩০-৪০ মিনিট সময় নিয়ে পৌঁছাবে নির্ধারিত পিলারের কাছে। এরপর নোঙর করে পজিশনিং শেষে বসানো হবে সেতুর ১১ ও ১২ ও নম্বর পিলারের ওপর।
সূত্র জানায়, মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে বসানো স্প্যানগুলোতে রেলওয়ে স্ল্যাব ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজও চলমান আছে। সেতুতে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ২৯১৭টি রোডস্লাব। এর মধ্যে নভেম্বর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ২৩৯টির বেশি স্ল্যাব। রেলওয়ের জন্য প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলস্লাব। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৮৬০টির বেশি স্ল্যাব।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।