নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট মহানগরীর জিন্দাবাজার এলাকাটি হাইওয়ে না বাণিজ্যিক এলাকা- এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। চৌহাট্টা থেকে কোর্টপয়েন্ট পর্যন্ত যেভাবে ডিভাইডার দেয়া হচ্ছে, এতেই উঠছে এমন প্রশ্ন। এ কারণে সাধারণ মানুষকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে বলেও মনে করছেন তারা।
নগরীর প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত জিন্দাবাজার বাণিজ্যিক এলাকা হিসাবেই প্রসিদ্ধ। সিলেটের বড় বড় শপিংমল, মার্কেট বা বিপণীবিতানগুলোর অবস্থান এই এলাকায়।
তাছাড়া আছে হোটেল-রেঁস্তোরা, ট্র্যাভেল অ্যাজেন্সি, জুয়েলারি, কয়েকটা সরকারি দফতরসহ আরও নানা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় ডিভাইডার এবং তার উপর লাগানো গ্রিলের কারণে রাস্তা পারাপারের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়বে।
জিন্দাবাজারের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের যুক্তি, শুকরিয়া মার্কেটে কেনাকাটা শেষে একজন মানুষকে মিতালি ম্যানশন যেতে হলে তাকে যেতে হবে জিন্দাবাজার পয়েন্ট ঘুরে।
একইভাবে আলহামরায় শপিং শেষে বিপরীতের মার্কেটগুলোতে যেতে হলে অনেক পথ ঘুরে যেতে হবে।
তাদের মতে, এটি হাইওয়ে না, সিলেট বিভাগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা বাণিজ্যিক এলাকা। আর সিলেট মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত জিন্দাবাজারে নারী-শিশু বয়স্কসহ সবধরণের মানুষের সহজে কেনাকাটার উপায়টা বন্ধ করলে যেমন এর ঐতিহ্য ধ্বংস হবে, তেমনি শতভাগ ডিভাইডার থাকারও তেমন প্রয়োজন দেখছেন না তারা। বরং বিশ্বের উন্নত দেশের উন্নত শহরগুলোর মতো ওয়াকিং স্ট্রিট পদ্ধতিতে এই সড়ক সংস্কার করতে পারলে যেমন সাধারণ মানুষের লাভ হতো, তেমনি লাভ হতো ব্যবসায়ীদের। সুরক্ষিত থাকতো জিন্দাবাজারের ঐতিহ্যও।
তাদের প্রস্তাব, ডিভাইডারের মাঝে মাঝে জেব্রাক্রসিং দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা রাখা হউক।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302