নিজস্ব প্রতিবেদক::
সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের ভরাডুবি হয়েছে। ভূমিধ্বস বিজয়ে শেষ হাসি হেসেছেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীরা।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন বর্তমান মেয়র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) আমিনুল ইসলাম রাবেল। অপরদিকে জকিগঞ্জ পৌরসভায়ও বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, উপজেলা যুবলীগের আহŸায়ক আব্দুল আহাদ।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভা:
গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাাচনে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ পাপলুর চেয়ে ১৩০৩টি ভোট বেশি পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে রাবেল জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৫১ভোট। পাপলু মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৪৮ ভোট।
শনিবার রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষনা করেন সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইদুর রহমান।
তিনি জানান, ধান প্রতীকে পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন ৪২২২ ভোট পেয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১৭৫ ভোট।
নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে মোট ২২ হাজার ৯শ ১৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৬ হাজার ৫৩টি। এর মধ্যে ভোটের সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৯৬টি, বাতিল ভোটের সংখ্যা ২৫৭টি। মোট ভোটের হার ৭০%।
জকিগঞ্জ পৌরসভা:
সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মাত্র ২ ভোটের ব্যবধানে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল আহাদ। নারিকেল গাছ প্রতীকে আব্দুল আহাদ পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী ফারুক আহমদ জগ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮১ ভোট। অপরদিকে আল-ইসলাহর প্রার্থী হিফজুর রহমান মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯৭৮ ভোট। নৌকা প্রতীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন ৬৬৯ ভোট পেয়ে হয়েছেন ছয় নম্বর হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী ইকবাল আহমদ ধানের শীষ প্রতীকে ৬১০ ভোট পেয়ে সপ্তম হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল মালেক ৭৬৯ ভোট, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন হীরা ১৮৫ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফরুল ইসলাম ১ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট জেলার এ দুই পৌরসভা নির্বাচন কোন ধরণের সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, মারামারি-হানাহানি ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ভোটাররা স্বত:ষ্ফুর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ৯টি কেন্দ্রে উৎসব মুখর পরিবেশে চলে ভোট গ্রহণ। শেষ হয় বিকেল ৪টায়।
নির্বাচন উপলক্ষে পৌর শহরে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ছিল। যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি তৎপর ছিল। যার ফলে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।