নিজস্ব প্রতিবেদক::
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন ধরণের সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, মারামারি-হানাহানি, অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটাররা স্বত:ষ্ফুর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ৯টি কেন্দ্রে উৎসব মুখর পরিবেশে চলে ভোট গ্রহণ। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। সকাল থেকেই প্রতিটা ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
গোলাপগঞ্জের এমসি একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজে ভোট দিতে আসা ছকিনা বেগম (ছদ্মনাম) বলেন, প্রথমে মনে ভয় ও শঙ্কা ছিল। আমার ভোট আমি দিতে পারবো কিনা। কোন ধরণের হামলা, মারামারির ঘটনা ঘটে কিনা? তবুও বুকভরা আশা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে সম্পূর্ণ ধারণা পাল্টে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি মনে সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি আমার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি।
সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের কোয়ালিটি স্কুল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়- পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশী। নারী ভোটারদের সারিতে অন্তত ৬০-৭০ জনকে দেখা গেছে। তবে পুরুষদের সারিতে ছিলেন মাত্র ১৫-২০ জন। দুপুর ২টা পর্যন্ত একই চিত্র ছিল।
এছাড়াও এমসি একাডেমি, ফুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোষগাঁও ইসলামিয়া মাদ্রাসা, হাজী জসির আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাড়িয়াপাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রনকেলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সৈয়দ তানভীর হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে একই চিত্র দেখা যায়।
প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। জকিগঞ্জের প্রতিটি কেন্দ্রেও ছিল নারী ভোটারদে ব্যাপক উপস্থিতি।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইদুর রহমান জানান, নির্বিঘেœ ভোট দিতে দুটি পৌরসভায় ৯জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন, এছাড়াও জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় ২জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও ছিলেন।
এছাড়াও প্রতিটি পৌরসভায় ২ প্লাটুন করে বিজিবি ও প্রতি ভোট কেন্দ্রে ১০জন করে পুলিশ সদস্য ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় ছিল শতাধিক গোয়েন্দা পুলিশ ও মোবাইল টিম। অপরাধ ঠেকাতে সাদা পোশাকেও পুলিশ ছিল।