আনোয়ার হোসেন মিছবাহ্ :: চেহারার ভাঁজে ভাঁজে আগাগোড়া ভদ্র মানুষের প্রতিকৃতি নিয়ে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢোকে আর্থপীড়িতের সেবাচাষীর নাম বলতে চাই। নিজেকে নিয়ে যিনি অনেক দূর এগুতে চান-তিনি অবসরের লেখক। অন্তপ্রাণ সমাজ সেবক। পরহিতৈষী মানুষ-ডা. মো. মিছবাউল ইসলাম।
মিছবাহ্ আমার নাম বলে হয়তো মিছবাউলকে মনোডোরে বাঁধি। পরিচয়কে মাথার বিতানে বসালে তাকে ক্লায়েন্ট বা কাস্টমার হিসেবে কখনো নেইনি।আগাগোড়া ভদ্র মানুষকে কর্পোরেট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর আর্থিক সেবক জ্ঞানে হয়তোবা তাঁর প্রাপ্য সেবার চাহিদাকে আগলে দিয়েছি।
তিনি দেন। দেওয়ার মানুষ তিনি। তাই তাঁর কাছ থেকে নিত্য নেওয়ার আনুকূল্যতা আমাকে আঁতুড় করে রাখে। তাঁর সকাশে খালি হাতের প্রশ্রয় নেই। কারণ খালি হাতের আমলে প্রশ্রয় নেই তাঁর। তাঁর হাতের আঁজলায় ভরা থাকে সময়, অসময়ে, সবসময় উপহারের আঞ্জাম।
নারিকেল পাতার ফাঁকে ফাঁকে চাঁদ নামানোর মতো ঠোঁটেও একফালি আলো নামিয়ে উপহারকে এগিয়ে দেন। কৃতজ্ঞতায় আড়মোড়া ভেঙ্গে সলজ্জ হাসিতে গ্রহনে ব্রতী হই ঠিকই তবে কর্তব্য জ্ঞানকে কাজের ক্রমে রেখে। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে দায়িত্বের চাবিকাঠি হলেও তাঁকে দেওয়া দান যৎসামান্যই মনে হয়। কিন্তু সেই দান থেকেও বেশি দানে প্রীত করেছেন, আরো বেশি বেশি দানে। আমি তাঁর তরে কৃতজ্ঞতাকে বিছিয়ে দিলেও কম দেওয়া হবে। তাঁর কর্মময় ব্যস্থতার নাম যদি সেবা পরিসেবায় ব্যস্থ থাকা হয়। তবে সেই সেবাকে দান থেকে কেঁড়ে এনে হয়তো অনেককেই বঞ্চিত করেছি। তবে তাঁর মুখে বেদনার কোন আঁচ পড়েনি। রাতে দুপুরে। স্ব ঘুমে, নির্ঘুমে, শুক্রবার, শনিবারে কিংবা তাঁর কর্মপ্রতিষ্ঠানে কতোবার যে তাঁকে আমার কাজে ডিস্টার্ব করেছি তার হিসাবের খাতায় কালির আঁচড়ে জমালে পৃষ্ঠাকে পৃষ্ঠাগুলোর বাঁধাই করা কিছু হতো।
এখনও তাঁর কাছে যাই। সেবায় ভাগ নিতে হাত পাতি।তিনি দেন। নির্লোভ অহংকারে দেন। শুধু আমাকে নয়।তিনি তাঁর কর্মস্থল উইমেন্স মেডিকেলে কখনো সাইকিয়াট্রি বিভাগে রেজিস্ট্রার আসনে বসে। কখনোবা মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সেবায়। আবার ডায়বেটিসে বিশেষ সেবাদাতার তালিকাও তাঁর আদত থেকে দেন।
কর্মপ্রতিষ্ঠানে আমার পরিজন সেবাকেও তিনি ব্রত হিসাবে আমলে পুঁজি করেন। তিনি ডাক্তার। ডাক্তারি তাঁর পেশা। সেবা তাঁর ব্রত। ব্যবহার অনুষঙ্গ। জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে। পেশাকে নেশায় নিয়ে সেখানেই ডুব মারেন। উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য ২০ মে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে সাথে নিয়ে ঢু মেরে আসেন লন্ডনের মাইল্যান্ড থেকে। এখন তিনি সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি ডিপার্টমেন্টের রেজিস্ট্রার। চেম্বার করেন স্টেডিয়াম মার্কেটে শনি থেকে সোম। রোগীর ভিড়ে কাবু থাকেন প্রতি সন্ধ্যায়। টেস্টের বাহুল্য বর্জিত চিকিৎসা পরিসেবায় রোগীরা সন্তুষে বাড়ি যান। সুস্থতায় সুখি হন। কাজ করেছেন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আবাসিক মেডিকেল অফিসার হয়ে কাজ করেছেন আর আর হসপিটাল জিন্দাবাজার, সিলেটে।
তাঁর এমন ব্যস্থতম পেশাকে ধারন করেও আছেন বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতির কানাইঘাট প্রতিনিধি।
কানাইঘাট ও সড়কের বাজারের একজন সফল প্রেকটিশনার। সিলেট মহানগর কানাইঘাট কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারি। নিউ সিটি রোটারি ক্লাবের পাস প্রেসিডেন্ট। এবং সেবা ছায়া'র(মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থা) সেক্রেটারি।
সেবাজ্ঞানে রোটারিয়ান আমাদের ডাক্তার। গরিবের বন্ধুজন ডাঃ মো. মিছবাউল ইসলাম। সিলেট শহরের স্টেডিয়াম মার্কেটে তাঁর শনি বৃহস্পতিবার চেম্বার হলেও শুক্রবার কাটে তাঁর নিজস্ব এলাকা কানাইঘাটে। গরিবের চিকিৎসায়। আবার আমাদের মতো কারো কাছ থেকে হয়তো ভিজিটের ধার না ধরে বিনা ভিজিটের পরিসেবায়। আমি তাঁর এমনও কলজেপুরো চিকিৎসা সেবাকে। অবসরের লেখক জীবনকে।সর্বোপরি সমাজ সেবাকে ভবিষ্যৎ পথের পাথেয় করে নেওয়া ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত করতে চাই।অভিষিক্ত করতে চাই তাঁর একাডেমিক স্বীকৃতি এফসিপিএস পরীক্ষায় কৃতকার্যের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য। জয় হোক ব্রতচারী চিকিৎসার। জয় হোক তাঁর জীবনের অলিগলির সু-মহান পথচারণ।ইলাস্টিক জীবনে থাকুন স্বজনে সুজন।
লেখক: কবি ও ব্যাংকার
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302