
একুশেনিউজ ডেস্ক::
ঐতিহ্য সন্ধানী কাগজ ‘অনুপ্রাণন’ সম্পাদক ও সিলেট মহানগর কানাইঘাট কল্যাণ সংস্থার সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিনের বড় ভাই মো. নুর উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন সিলেট মহানগর কানাইঘাট কল্যাণ সংস্থার নেতৃবৃন্দ।
রবিবার (২৭ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মো. নুর উদ্দিন ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, নম্র, ভদ্র, অমায়িক ও সজ্জন। তিনি অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
সিলেট মহানগর কানাইঘাট কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট চিকিৎসক রোটারিয়ান ডা. মো. মিছবাউল ইসলাম সাক্ষরিত এক শোক বার্তায় সমবেদনা জ্ঞাপন করেন- সংস্থার সভাপতি মাষ্টার মো. জালাল উদ্দিন, সহ সভাপতি (যথাক্রমে) সেলিম আহমদ চৌধুরী, মো. জাকারিয়া (শাবিপ্রবির ইন্সট্রুমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার), মো. আমিনুর রশীদ, মো. আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান ডা. মো. মিছবাউল ইসলাম (রেজিস্ট্রার -সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল), সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জাদুল আহমদ চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন, সহ কোষাধ্যক্ষ মৌলভী আবু সাইদ আল হুসাইন, অফিস সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান, শিক্ষা-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আসিফ আযহার, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক লায়ন্স মো. হুমায়ুন কবির, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুস শাকুর, সহ প্রচার সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান রাসেল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. আরাফাত রানা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. বজলুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. তাজ উদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক সালমান রহমান তারেক, সদস্য মো. আনোয়ার হোসাইন, মো. আবুল বাশার ও তোফায়েল হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মো. নুর উদ্দিন দীর্ঘ এক বৎসর যাবৎ মরণব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পূর্ণ এক বছর চিকিৎসার পর মাত্র ৪৯ বছর বয়সে গত ২৩ জুন বুধবার বিকাল সোয়া চারটায় নিজ বাড়িতে ইহকালীন জীবন ত্যাগ করে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে পরকালীন জীবনে পাড়ি জমান। ঐদিন রাত ৯ ঘটিকায় নিজ মহল্লার মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ শেষে পার্শবর্তী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি কানাইঘাট উপজেলাধীন সড়কের বাজার, দর্পনগর পশ্চিম (বাল্লাগ্রাম) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান আবাস একই এলাকার কটালপুর গ্রামে। তাঁর বাবাও ছিলেন একজন ধর্মভীরু ও সমাজসচেতন আল্লাহওয়ালা মানুষ। তিনি অত্যন্ত সাদামাটা, নিরহংকার, নির্লোভ, সৎ ও সজ্জন লোক ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন এক কন্যা সন্তানের জনক। এক ছেলে সন্তান শিশুকালেই মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুকালে তিনি ১ মেয়ে, স্ত্রী, মমতাময়ী মা, দুই ভাই, তিন বোন, ১০ ভাতিজা-ভাতিজি ও আত্মীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।