• ২৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২রা জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ওসমানীনগরে মসজিদের কাঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে হামলা: আহত ১৪

admin
প্রকাশিত জুলাই ২৭, ২০২১
ওসমানীনগরে মসজিদের কাঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে হামলা: আহত ১৪

একুশেনিউজ ডেস্ক::
ওসমানীনগর কামালপুরে বায়তুল মামুর জামে মসজিদের কাঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আবু বক্কর ও তার সহযোগীদের হামলায় মসজিদের মোতাওয়াল্লীসহ উভয় পক্ষের ১৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) বাদ জুমআ মসজিদের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বায়তুল মামুর জামে মসজিদের কাঠাল নিলামে তুলেন মসজিদের মোতাওয়াল্লী শোয়াইব আহমদ। নিলামে তুলতেই আবু বক্কর ও তার সহযোগিরা উশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। মোতাওয়াল্লী তখন মসজিদের ভেতরে উশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে নিষেধ দেন। তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে আবু বক্কর ও তার সাথে থাকা ২০ জন লোক লাঠি, রামদা, ইট-পাটকেল মারতে থাকে। হামলাকারীদের কবল থেকে মোতাওয়াল্লীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন মসজিদের মুসল্লি ইকবাল, হুমায়ূন রশিদ, কামরান, সুহেল, জুয়েল, রুবেল, মানিক ও রশিদ আহমদ। তখন হামলাকারী সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও হামলা চালায়। রামদা, লাঠি, ইট-পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মোতাওয়াল্লীকে বাঁচাতে আসা সকল মুসল্লি গুরুতর আহত হন। মাথা, হাত, চোখ আঘাত সহ পুরো শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

পরদিন ইকবাল আহমদ বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং- ১৮। মামলার আসামীরা হলেন, আবু বক্কর, কাওছার আহমদ, মুজিব মিয়া, শাহীন আহমদ, শ্যমল আহমদ, সোহাগ আহমদ, মুরাদ আহমদ, জামাল আহমদ, খলিল মিয়া, মুজিব আহমদ, শাকিল আহমদ, সজিব আহমদ, ছামির আলী, জাহেদ আহমদ। এছাড়াও ৫/৭ জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়।

 

মামলার বাদী ইকবাল আহমদের ছোট ভাই মিনহাজ আহমদ বলেন, দুই বছর আগে আমার সম্পর্কে চাচা আবু বক্কর সিদ্দিকীসহ তার ভাইদের সাথে পারিবারিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। তখন যুবলীগের সদস্য নুরুল ইসলাম নুরুর ষড়যন্ত্রে আমরা একটি বাড়ির মাঝখানে দেয়াল দিয়ে আলাদ করতে বাধ্য হই। তখন থেকে আবু বক্করগনদের নিয়ে নুরুল ইসলাম নুরমিয়া নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। প্রায় মাসখানেক পূর্বে গ্রাম পঞ্চায়েতের সাথে আবুবক্কর ও তার ভাইরা অসৎ আচরন করলে পঞ্চায়েতের মুরব্বিরা বিচার সালিশে বসে তাদেরকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেন। গত ১৬ জুলাই শুক্রবার কামাল পুর জামে মসজিদে কুমড়া নিলামে তুললে আবুবক্করের ভাই মুজিব মিয়া নিলামে অংশ নেন। তখন মসজিদের মোতাওয়াল্লী তাকে নিলামে অংশ না নেওয়ার জন্য বলেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যান। গ্রামের মধ্যে মারামারি শুরু করার পায়তারা করতে থাকেন। গত ২৩ জুলাই শুক্রবার চক্রান্তকারী নুর মিয়ার পাঠানো একটি কাঠালকে জুম্মার পরে নিলামে তুলেন মসজিদের মোতাওয়াল্লী শুয়াইব আহমদ। এ নিলামে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অংশ নেন আবু বক্কর। তখন মসজিদের মোতাওয়াল্লী নিলামে অংশ নিতে বাধা দিলে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই আবু বক্কর ও তার সহযোগিরা হামলা চালায়।

ওই দিন মসজিদে নুরুল ইসলাম নুরুর আত্মীয়-স্বজন শিবপুরের অনেক লোকজনকে ওই মসজিদে নামাজ পড়তে দেখা যায় বলেও জানান মিনহাজ আহমদ। তিনি আরও বলেন, আমার ভাই ইকবাল আহমদসহ আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে নুর মিয়ার নেতৃত্বে গাড়ি আটকিয়ে ২য় দফায় আমাদের উপর হামলা চালানো হয়।