
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পান্তুমাই এলাকায় মো: সাইফুর রহমানের বাগান থেকে সোহেব নামক এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১ আগস্ট) সকালে সোহেব আহমদ নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
নিহত সোহেব আহমদ গোয়াইনঘাট উপজেলার পান্তুমাই গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।
সোহেব আহমদের পিতা বাদী হয়ে গোয়ানইঘাট থানায় রোববার রাতে পান্তুমাই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অন্যান্য আসামিগণ হলেন পান্তুমাই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো: জিল্লুর রহমান, মো: আতাউর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান, আব্দুর রহমানের ছেলে মো: খলিলুর রহমান, শফিক আহমদের ছেলে সেলিম আহমদ, মতন মিয়ার ছেলে এমদাদ আহমদ, আলিমুদ্দিনের ছেলে সুবেল আহমদ, বশির আহমেদের ছেলে সুনাম উদ্দিন ও রুম্মান উদ্দিন, শরিফ উদ্দিনের ছেলে এহসান উদ্দিন ও মতিউর রহমানের ছেলে মোঃ শামসুর রহমান প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো: সাইফুর রহমানের দোকানে রুবেল আহমদ ও সোহেব আহমদ হামলা করেছে বলে মিথ্যা বিচার দাবি করে এবং গোয়ানইঘাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মো: সাইফুর রহমান। এর রেশ ধরেই সোহেব আহমদকে সাইফুর রহমান ও তাঁর সাঙ্গ পাঙ্গরা হত্যা করে লাশ গোপন করতে মো: সাইফুর রহমান তার বাগানে ফেলে দেয়।
মামলার বিবাদী মো: সাইফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত ইন্ডিয়া বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবারিদের সাথে জড়িত হল সোহেব আহমদ। সে দীর্ঘ দিন থেকে মাদক, ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন অবৈধ জিনিস সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে পাচার করছে। গতকাল রাতেও তারা সীমান্তে চোরাচালান করতে গিয়ে তাদের দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এবং এই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সোহেব আহমদ মারা যায়। কিন্তু এ হত্যার সাথে কোনোভাবেই আমি জড়িত নই। আমাকে ফাঁসানোর জন্য তারা আমার উপর মামলা দায়ের করেছেন।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, সীমান্ত থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। আমরা অতি দ্রুত আসামি গ্রেপ্তার করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছি।