
নিজস্ব সংবাদদাতা : সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মকন দোকান স্কুল ও বাজারের সামনে বিএনপি’র প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামী লীগের হামলায় নির্মমভাবে খুন হয়েছেন বাজারের কর্মচারী রুকশান। গত মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট ) বিকাল অনুমানিক ৩: ৩০ ঘটিকার দিকে মকন দোকান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুকশান দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের বড় বাড়ির আফতাব মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৩:৩০ ঘটিকার সময় সিলেট জেলা যুবদলের সেক্রেটারি মকসুদ আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধ জায়গা দখল ও অসহায় মানুষদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। এতে দক্ষিণ সুরমা থানার বিএনপি যুবদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ চলাকালীন অবস্থায় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হইলে বাজারের কর্মচারী রুকশান গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত হয় এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। এছাড়াও উভয় পক্ষের অনেক নেতাকর্মী আহত হন মর্মে খবর পাওয়া যায়।
রুকশান খুনের পরদিন বুধবার (০৪ আগস্ট) নিহতের পিতা আফতাব মিয়া বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় ১৩ (তের) জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী সবাই বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। মামলার আসামী হলেন, মো: মাসুদ মিয়া, আব্দুর রহমান খালেদ, মকসুদ আহমদ, জাকির হোসেন ইমন, মোঃ জহির মিয়া, সায়েদ খান, ফেরদৌস আহমদ, মুহিবুর রহমান বাদশা, কয়েছ আহমদ সবুজ, সালমান আহমদ রানা, বদরুল ইসলাম, আবুল বাশার, অনিক আহমদ।
খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নিহত রুকশান হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, অতিসত্বর আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।