
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক পদে দায়িত্ব পালনে থাকা স্বত্তেবও সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনের মতামত উপেক্ষিত ও ত্যাগীদের নেতাদের অবমূল্যায়ন করায় পদত্যাগ করেছেন সামসুজ্জামান জামান। এর পর থেকে নেতাকর্মীরা ঝাঁকে ঝাঁকে দল থেকে পদত্যাগ করছেন।
জামানের পদত্যাগ নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন এমসি কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফ্ফার গুটলু।
পাঠকের সুবিধার্থে স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:-
’যেই সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো তখন দেখেছি কত সুবিধাভোগী নেতা আর উনাদের বন্ধুদের। অই তথাকথিত বন্ধুদের কু ইশারায় কত ছাত্রদলের ছেলেরা জেলে গিয়েছেন এবং প্রাণও হারিয়েছেন।
এখন এই বিএনপির বিরোধী দলের প্লাটফর্মে অই তথাকথিতদের টিকিও দেখা যায় নাহ। আবার তারা খোলস বদলায় সাপের মতো করে।
এখন এরা অনেকেই বর্তমান ক্ষমতাশালী দের কাছের মানুষ। কি বলবেন?? এটাই সিস্টেম ?
তবে শুনুন, বলি এই ক্ষেত্রে একটিমাত্র ব্যাতিক্রম শামসুজ্জামান জামান ভাই। যিনি দল ক্ষমতায় থাকতে বহিষ্কার আর জেল আর বিরোধী দলে থাকতে আন্দোলনের অগ্রভাগে থেকেও অবহেলার পাত্র। এটা চিরন্তন সত্য কিন্তু, আপনি জামান ভাইকে ভালো পান অথবা না পান।
প্রতিবাদের ভাষা জামান ভাইয়ের কাছ থেকে শিখেছি বলে আমি ও আমরাও হয়েছি দল ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় জেল আর নির্যাতনের সীকার আর সাথে প্রোপাগান্ডা ??
এখন আসি মূল কথায়।
এখন লোকমুখে শুনা যায় বিএনপি এখন লন্ডন কেন্দ্রিক। কারণ তারেক রহমান সাহেব এখানে। উনার অজান্তেই এর সুযোগ নিয়েছে গুটিকয়েক সুবিধাবাদী পশুরা।
বলবেন লন্ডনে কি আবার?
হাহাহাহাহা, এখানে আছে পুরা বাংলাদেশ, বিভিন্ন দেশের কমিটি, নমিনেশন সহ আরও অনেক কিছুর ব্যাপার। এরা বিতর্কিত মহিলা দিয়ে কারান্তরিন বেগম খালেদা জিয়ার ডামী বানায়,পরে এই বির্তকিত ডামীর সাথে হাসিমুখে ফটো সেশন করে, এদের এইসব নস্টামীর প্রতিবাদ করায় এরা সিলেট শহরের ত্যাগী সাবেক ছাত্রদলের নেতা Shipon Chowdhury এর মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।
পিএস নামের কুক্ষ্যাত এক নাম সানী। এই সানী নিয়ন্ত্রণ করে সবকিছু তারেক রহমানের অজান্তে।
সে অনেক জায়গায় ফোন করলেই তারেক রহমানের নাম চলে আসে। বিভিন্ন কমিটি, নমিনেশন এর যারা ক্যান্ডিডেট তারা যে কি পরিনাম ভয় পায় এই সানীকে, তা সব কল্পকাহিনী ফেইল।
একটা মজার কথা বলবো?? ??
জামান ভাই লন্ডন আসলে যারা ঝাপাইয়া পড়েন, তাদের মধ্যে যারা ইউকে রাজনীতি তে পোস্টেড আছেন তারা আমার এই পোস্টে সানীর ভয়ে কমেন্ট পর্যন্ত করবে নাহ ??
এদের গাটস বলতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই।
এই সানীর নেই কোনও রাজনৈতিক ইতিহাস। এরা ব্যাগ আর জুতা বইতে বইতে হয়তো একদিন দেখবো এরা হয়ে গেছে কোন সরাস্ট্রমন্ত্রী, তার এক ফোনে হয়তো এই পোস্টের জন্য মেরে ফেলে রাখা হবে আমাকে। আর পত্রিকায় আসবে সানীদের পেইড করা কতো রোমাঞ্চকর নিউজ। সানীরা থেকে যাবে চিরকালের মতোন আড়ালে, আবডালে সুবিধা মতোন। সুযোগ পেলে তারেক রহমানের লাশ এর ব্যবসায় লেগে পড়বে।
আর জামান ভাইয়েরা থাকবেন চিরকাল ব্যাক স্টেজে বাঘের বেশে ?
আর এই পোস্ট যারা এইমাত্র স্ক্রিনশট নিয়ে এই পিএস নামক ভাইরাস কে পাঠালেন তাদের বলে রাখি, আপনাদের জন্ম পরিচয় নিয়ে আমরা সন্দিহান!!
আসি এখন প্রিয় জামান ভাইয়ের কথায়, এই যে বিএনপি থেকে সড়ে দাঁড়ালেন, ভালোই করেছেন, কি হবে এই দল করে?? দল এখন সানী আর বিতর্কিত ডামীদের দখলে।
জেল জুলুম আর কত? মামলা আর কোর্টের বারান্দাই কি আমাদের জীবন? আমাদের পরিবার পরিজন কে এই বিএনপির রাজনীতি র জন্য বির্সজন দিয়ে আজ আমরা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।
তারেক রহমানের এখনই সময় ত্যাগী দের মূল্যায়ন করার, কাছে ঢেকে নেয়ার। তারেক রহমান নিজেই জানেন নাহ, এই সানীরা কি পরিমান ভয়ানক এক সিনারিও ক্রিয়েট করে মানুষের কাছে তারেক রহমানের ব্যাপারে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে নাহ। বল্লেই নাকি পোস্ট চলে যাবে, নেক্সট কমিটি তে আসতে পারবে না, ভাই নমিনেশন পাবেন না, এলাকায় চেয়ারম্যান নমিনেশন পাবেন নাহ, বহিষ্কার আরও কত কি!! অনেকের কাছে এইসবই এদের লক্ষ্য।
তারা কি জানে এই জামান ভাইয়ের সৈন্যদল পোস্টের আর বহিষ্কারের তোয়াক্কা থুরাই করে।’