একুশেনিউজ ডেস্ক::
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে `অ্যানথ্রাক্স’ বা `তড়কা রোগে’ শিশুসহ অন্তত দশ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা নিজ নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে এ রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এদিকে প্রতিদিনই এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে ৮ দিন আগে রহিম হোসেনের একটি অসুস্থ গরু জবাই করে স্থানীয়দের মাঝে মাংস বিক্রয় করা হয়। ওই গরুর মাংস খাওয়ার পর ফকির মন্ডলের ছেলে সজিব (২৫), সিরাজুল ইসলামের ছেলে নমাজ (২৮), নয়ন আলীর ছেলে রমজান আলী (৪৮) মতিয়ার রহমানের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫), মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সুজিনা খাতুন (৪০), মৃত শাহ মোহাম্মদের ছেলে বাবুল হোসেন (৬৭) ও ডাবলুর শিশু ছেলে সাব্বির (১৩) সহ অনন্ত দশ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাদের হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বা ঘা দেখা দেয়। আক্রান্তরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা নিশ্চিত করেন এটা অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ। পরে তারা স্থানীয় চিকিৎসকদের দেওয়া চিকিৎসা নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতেই রয়েছেন বলে আক্রান্ত পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।
দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মালেক জানান, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে কিছু গরু তড়কা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। আক্রান্ত পশুর স্যাম্পল ল্যাবটেষ্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য গবাদিপশুর মাঝে যেন রোগটি ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ওই এলাকার পশুগুলোকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেন, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার কোনো খবর আমরা পাইনি। হাসপাতলে কেউ রোগের চিকিৎসা নিতে আসেননি।