নিজস্ব প্রতিবেদক::
সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলায় এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল মোমেন এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। সেই সাথে পলাতক আসামি কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়হান হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী।
তিনি বলেন, অভিযোগপত্র গ্রহনকালে প্রধান অভিযুক্ত বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ সকল আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় ।
এই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।
এদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গত ৫ মে আলোচিত এই মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে সাথে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল বন্দরবাজার ফাঁড়ির বহিষ্কৃত এসআই মো.আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও এএসআই আশেক এলাহী।
আলামত গোপনের অভিযোগে আসামি এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২০১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ অক্টোবর রাতে রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে মারধরের এক পর্যায়ে রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়লে ১২ অক্টোবর ভোরে সিএনজি অটোরিকশা করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রায়হানের শরীরে একাধিক লাঠির আঘাত পাওয়া যায়।
ওইদিন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302