ডেস্ক রির্পোট :: সিলেটে প্রবাসী বিশেষ করে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ পিছু ছাড়ছে না। কখনো প্রবাসী পুরুষের আবার কখনো প্রবাসী নারীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠছে। মুষ্টিমেয় শ্রেণির একাধিক বিয়ে, গোপন বিয়ে কিংবা বিয়ের নামে প্রতারণার বিষয়টি বারবার আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। এসব ঘটনায় একদিকে যেমন প্রবাসীদের দুর্ণাম হচ্ছে তেমনি বিব্রতকর পরিস্থিতে পরতে হচ্ছে পরিবার পরিজন নিয়ে। এমনকি অভিযুক্ত প্রবাসীর দেশে থাকা স্বজনরাও পড়ছেন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। সর্বশেষ সিলেট নগরীর টিলাগর এলাকার একটি বাসা থেকে প্রবাসীর নির্দেশে তার ‘দ্বিতীয় স্ত্রীকে’ বের করে দিয়েছেন তারই পাইকপেয়াদারা। ৪ বছর সংসার করার পর লন্ডন গিয়ে অন্য একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে স্ত্রী হেনা বেগমকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের (শান্তিগঞ্জ উপজেলা) বীরগাঁওয়ের বাসিন্দা হেনা বেগম রিমলী সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি বরাবরে প্রতিকার দাবি করে স্বামী শফিক, বিয়ের মধ্যস্থতাকারীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তও শুরু করেছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ। অবশ্য অভিযুক্ত প্রবাসী শফিক বিয়ে অস্বিকার করে জানিয়েছেন, হেনা একটি পক্ষের মদদদে তার মানসম্মান নষ্ট ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
গত ৭ অক্টোর ডিআইজি ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগে বীরগাও গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে হেনা বেগম উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালে ২৭ জানুয়ারি মুসলিম শরিয়ামতে একই উপজেলার খারারাই গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে লন্ডন প্রবাসী আতাউর রহমান শফিকের সাথে তার বিয়ে হয়। আগের স্ত্রীর সাথে বনিবনা নেই ও ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে দাবি করে বিয়ে করেন শফিক। বিয়ের মধ্যস্থতা করেন দুসম্পর্কে মামা ছাতকের বাদে ঝিগলী গ্রামের মৃত সমসু মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া। বিয়ের পর তাকে সিলেট নগরীর টিলাগড়ের শাপলাবাগ এলাকার ১ নং রোডের ২৬ নম্বরবাসায় তুলেন। সেখানেই তিনি বসবাস শুরু করেন। শফিক লন্ডন চলে গেলে তার বোনের বাড়ি ছাতকের সেওতরপাড়া গ্রামে রেখে যান। দেশে আসার পর আবার তাকে সিলেটের বাসায় নিয়ে আসেন। সংসার করা অবস্থায় গত সকয়েক মাস ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন শফিক। গত ৭ আগষ্ট সন্ত্রাসী লাগিয়ে তাকে জোরপূর্বক মারধর করে গাড়িতে তুলে গ্রামের বাড়ি পৌছে দেওয়া হয়। শফিকের নির্দেশ সন্ত্রাসী কাজটি করে দালাল মানিক, তার স্ত্রী ও গাড়ি চালক মজনুসহ কয়েকজন। ঘটনার পর হেনা শফিকের আত্মাীয় স্বজনকে বিষয়টি অবগত করেও কোনো প্রতিকার পাননি। অভিযোগে হেনা শফিকের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগও করেন।
এদিকে গত বুধবার শাপলাবাগস্থ ওই প্রবাসীর বাসায় হেনা বেগম অবস্থান নিলে তুলকালাম ঘটে। তিনি ‘চলে আসলাম নিজের ঘরে’ টাইটেল লিখে ওইদিন একাধিক ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। খবর পেয়ে প্রবাসীর স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সহায়তায় তাকে বাসা থেকে বের করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার স্বজনদের জিম্মায় হেনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহপরান থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান। তিনি জানান, হেনা স্বামী দাবি করে ওই বাসায় উঠেছিলেন। কিন্তু তিনি যে স্ত্রী সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই।
হেনা বলেন, শফিক আমাকে অস্বিকার করে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। বিদেশ নেওয়ার নাম করে বিয়ের কাবিনও তার কাছ থেকে নিয়ে নেন। এখন আমাকে এসিড নিক্ষেপ ও হত্যার হুমকী দিচ্ছেন।
অভিযোগ বিষয়ে লল্ডন থেকে শফিক গণমাধ্যমকে বলেন, হেনার তার বাসায় কাজ করত। এখন স্ত্রী দাবি করে মানসম্পান নষ্ট করছে। হেনার সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একান্তে তোলা ছবি প্রসঙ্গে তিনি জানান, পারিবারিক অনুষ্ঠানে কে বা কারা ছবি তুলেছে তা তিনি জানেন না।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302