
একুশেনিউজ ডেস্ক::
বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজের লেকচার গ্যালারী-১ এ অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবেদ হোসেন। কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.কে.এম. দাউদ এর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ আরমান আহমেদ শিপলু। এছাড়াও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নার্সিং কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দেওয়ান নাবিবুর রহমান। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং এ সময় উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতের প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করেন।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি, সভাপতি এবং বিশেষ অতিথি ছাড়াও মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের অবস এন্ড গাইণী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক নমিতা রাণী সিনহা, ডার্মাটোলজি এন্ড ভেনেরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম, সাইকিয়েট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মাদ শফিউল ইসলাম, ফার্মাকোলজি বিভাগের লেকচারার ডাঃ মাহবুব হোসেন এবং ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারজানা মাহজাবীন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সহ ১৯৭১ সালে সকল শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবেদ হোসেন বলেন- “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না; তিনি বাঙালীর মহানায়ক এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি। জাতীর জনকের সুযোগ্যা কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে এবং উন্নত দেশের কাতারে নাম লিখাতে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি তাহলে অতি দ্রতই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন হবে।”