• ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

উপাচার্যের বাসভবন অন্ধকার করে দিলেন শিক্ষার্থীরা

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৩, ২০২২
উপাচার্যের বাসভবন অন্ধকার করে দিলেন শিক্ষার্থীরা

শাবি প্রতিনিধি:: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার বাসভবনের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা জানিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, আমাদের আন্দোলনের দশম দিন চলছে, অনশনে চলছে পঞ্চম দিন। এতে অনশনের ১০০ ঘণ্টা পার হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের আশানুরূপ সিদ্ধান্ত নেয়নি। যতদিন উপাচার্যের লিখিত পদত্যাগপত্র না আসবে ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

রোববার সন্ধ্যা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে অনশনরত শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটক থেকে একটু সামনে সরিয়ে চৌকির ওপর নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে অনশনে রয়েছেন ২৮ জন শিক্ষার্থী। অসুস্থ হয়ে ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি ১৩ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।

গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ৩টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ২৪জন শিক্ষার্থী এ অনশন অংশ নেন। পরে পারিবারিক কারণে একজন বাড়িতে চলে যান। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

এরআগে গত ১৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা।

পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাদের উপর লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা হলেও উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা যায়।