নিজস্ব প্রতিবেদক::
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনাল কাজ শেষ হলে সেখান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে জানিয়েছেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও ইচ্ছা অনুযায়ী কোভিডের সময়ও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ বন্ধ হয়নি। এই সময়ের মধ্যেই রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণসহ অন্যান্য অনেক কাজ হয়েছে। ফলে এখন ওসমানী বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের হিথ্রোতে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরে যে টার্মিনাল আছে সেটি সাধারণত অভ্যন্তরিণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য এরকম টার্মিনাল উপযোগী নয়। তারপরও যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের সাথে পরামর্শ করে, তাদের নির্দেশনা মতো এই টার্মিনাল দিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।
মাহবুব আলী বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরে নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে। ১১৬টি পাইলিংয়ের মধ্যে আজ প্রথম পাইলিংয়ের বোরিং কাজ শুরু হয়েছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই টার্মিনালের কাজ শেষ করা হবে। এরপর শুধু হিথ্রো নয়, বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে এই বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
শিগগিরই ঢাকা-নিউইয়র্ক বিমানের ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক থেকে একটি অডিট টিম আসছে। কিছুদিন পর তাদের দ্বিতীয় টিম আসবে। আমরা আশাবাদী খুব শিগগির নিউইয়র্কের সাথে সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে পারবো। সিলেট থেকেও যাতে ভবিষ্যতে নিউইয়র্ক ও টরেন্টোতে ফ্লাইট পরিচালনা করা যায়, এ বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে।’
সম্প্রতি বিমান ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাড়া বৃদ্ধিও কারণে মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ভাড়া বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটা শুধু বিমানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আন্তর্জাতিক বিষয়। মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীরা সাধারণ ফ্লাইটের ৪-৫ দিন আগে তাদের ভিসা হওয়ার সংবাদ পান। তাই কম সময়ের মধ্যে টিকেট কাটতে গিয়ে তাদেরকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। কিন্তু দেড়-দুই মাস আগে টিকেট কাটা গেলে এই সমস্যা থাকতো না। অর্ধেক মূল্যে তারা টিকেট কাটতে পারতো।
বিমান ভাড়া নিয়ে দুর্ভোগের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যগামীদের কিভাবে ভর্তুকি দিয়ে সহযোগিতা করা যায় এটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। কোভিডের কারণে যাত্রীদের চাপ বেশি, অন্যদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ চলায় ফ্রিকুয়েন্সিও বাড়ানো যাচ্ছে না। বিমানবন্দর পুরোপুরি অপারেশনে যাওয়ার পর হয়তো এই সমস্যা থাকবে না।’