একুশেনিউজ ডেস্ক::
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ওই ব্যক্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার যৌনাঙ্গে ৯টি সেলাই লেগেছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত। পুলিশ বলছে, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে তারা।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির নাম সেলিম মিয়া (৪৫)। তিনি পাথরঘাটার রুহিতা এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হিঙ্গুর শরিফের ছেলে। সেলিম পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। সেলিমের দাবি, সোমবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তের নাম মমতাজ বেগম। তিনি সেলিমের প্রথম স্ত্রী।
সেলিমের দ্বিতীয় স্ত্রী পুতুল বলেন, চার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। এরপর থেকে নানা বিষয়ে মমতাজের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব লেগে থাকত। এই অবস্থায় দুই বছর আগে আমি বাবার বাড়ি মঠবাড়িয়ায় চলে আসি। সেলিম মাঝেমধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত।
এ বিষয়ে আহত সেলিম বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে ১০ দিন ছিলাম। রোববার সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরি। রাতে খাওয়া শেষে প্রথম স্ত্রী মমতাজের পাশে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে ঘুমের মধ্যে টের পাই মমতাজ বঁটি দিয়ে আমার যৌনাঙ্গ কাটছে। কী কারণে এমন করল জানি না।
সেলিম মিয়ার প্রথম স্ত্রীর ছেলে মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা পাঁচ ভাই-বোন। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেলিমের যৌনাঙ্গে ৯টি সেলাই লেগেছে। তার চিকিৎসা চলছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেব।
অন্যদিকে অভিযুক্ত মমতাজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।