
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় এলডিপি নেতা পৌর শহরের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সুফিয়ান। ১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ১০টার দিকে দাসগ্রামস্থ মেইন মেইন রোডে এই ঘটনাটি ঘটে।
রাজনৈতিক পূর্ব বিরুধের জের ধরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী হত্যার উদ্যেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে বলে ভিকটিম জানিয়েছেন। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশ এলাকার লোকজন ছুটে আসলে হামরাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে পৌর শহরের আয়শা হক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। উপজেলার মাথিউরা পশ্চিমপার গ্রামের মজাহিদ আলীর পুত্র ভিকটিম মোহাম্মদ সুফিয়ান।
জানা যায়, বিরোধী রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এর বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার একজন সক্রিয় সদস্য মোহাম্মদ সুফিয়ান। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী, পৌর শহরের ইনার কলেজ রোডে তার মালিকানাধীন লিজা কসমেটিক্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে তার রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছে। রাজনৈতিক ঐ বিরুধের জের ধরে ইতিপূর্বে তার উপর একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১৯ ফেব্রয়ারি ঘটনার রাতে অন্যান্য দিনের ন্যায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১০টার দিকে দাসগ্রামস্থ মেইন রোডে পৌছার পর পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ৭/৮ জনের একটি দল মোহাম্মদ সুফিয়ান এর পথরোধ করে। কোন কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই তারা তার উপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা লাঠি, হকিষ্টিক ও রামদা দিয়ে তাকে বেদড়ক মারধর করে। তার পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক গুরুতর আঘাত করা হয়। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে ভিকটিম চিৎকার চেচামেচি করলে আশপাশ বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। লোকজন আসতে দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পৌর শহরের আয়শা হক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
ভিকটিম মোহাম্মদ সুফিয়ান বলেন, রাতের আধারে হামলাকারী সবাইকে চিনতে না পারলেও রুনু, শিহাব ও আহবাব কে চিনতে পেরেছি। তারা আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক পূর্ব বিরুধের জের ধরে ইতিপূর্বে একাধিকবার আমার উপর হামলা চালিয়েছে প্রাণে মারার জন্য। মহান আল্লাহর কৃপায় এ যাত্রায়ও আমি প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। পুলিশ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায় বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে কিছুটা জানতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।