ইউক্রেন পুরোপুরি দখল করে নেওয়ার ইচ্ছা নেই রাশিয়ার। মস্কো শুধু ইউক্রেনকে সামরিকভাবে নিরস্ত্র করতে চায়। এ জন্য ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। খবর বিবিসির।
লাভরভের এই বক্তব্যের আগে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা টুইটে জানান, রুশ সেনারা কিয়েভের পার্শ্ববর্তী ওবোলন শহরে ঢুকে পড়েছে। শহরটি ইউক্রেনের পার্লামেন্ট থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার উত্তরে। যেকোনো সময় সেনারা কিয়েভের দখল নিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে মস্কোয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘মস্কো ইউক্রেনের দখল নিতে চায় না; বরং ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করাই মস্কোর লক্ষ্য। দেশটিকে এখন নিজেদের ভাগ্য বেছে নিতে হবে।’
রাশিয়া একটি গণতান্ত্রিক দেশে হামলা চালাতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে লাভরভ ইউক্রেনকে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘সাবেক যুগোস্লাভিয়া, ইরাক ও লিবিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলো আগ্রাসন চালিয়েছিল। গণতন্ত্রের নামে এসব আগ্রাসনে হাজারও নিরস্ত্র মানুষের প্রাণ গেছে। পশ্চিমারা ইউক্রেনের হাতেও অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তাই রাশিয়া দেশটিকে নিরস্ত্র করবে। ইউক্রেনের সেনাদের অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে।’
২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন পুতিন। তাঁর এ নির্দেশের পরই ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযানের প্রথম দিনটি সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ হামলায় তাঁর দেশের অন্তত ১৩৭ জন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩১৬ জন।