নিজস্ব প্রতিবেদক::
করোনা মোকাবেলায় আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সিলেট বিভাগে ৭ লক্ষ মানুষকে গণটিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।
সকালে তিনি সিলেট প্রতিদিনকে জানান, ৭ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনশো থেকে পাঁচশো মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হবে।
জানা যায়, পুরো সিলেট বিভাগে টিকা দানে স্থায়ী-অস্থায়ী ৪০টি ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। তারা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্থানে ভাসমান লোকজনকে টিকা প্রদান করছে।
এছাড়াও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘জনসন এন্ড জনসন’র টিকা দেয়া হচ্ছে। সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ৯৬টি কেন্দ্রে সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়েছে টিকাদান। বিকেল ৩ টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম বিরামহীনভাবে চলবে।
সিসিক জানায়, যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি সেসব নাগরিকগণ জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধনপত্র নিয়ে কেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করবেন। যাদের এর কোনটিই নেই তারাও টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও যারা ইতিমধ্যে সুরক্ষা এপসে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন কিন্তু কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেননি তারাও আজ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। পরবর্তীতে তারা টিকা গ্রহণের তথ্য সুরক্ষা এপসে হালনাগাগ করাতে পারবেন নগরভবনে স্থাপিত তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে।
যারা রেজিষ্ট্রেশন ব্যতিত গণটিকা ক্যাম্পেইনে টিকা গ্রহণ করবেন তাদেরকে কেন্দ্র থেকে একটি সরকারি টিকা কার্ড প্রদান করা হবে।
এদিকে আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশের এক কোটি মানুষকে করোনা প্রতিরোধক টিকার প্রথম ডোজ দিতে চাচ্ছে সরকার। এটি সফল হলে প্রথম ডোজের টার্গেট পুরণ হবে। এই কার্যক্রমের আওতায় আজ সকাল থেকেই সারা দেশে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কার্যক্রম।