• ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে রাস্তার সিংহভাগই ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে

admin
প্রকাশিত মার্চ ১০, ২০২২
সিলেটে রাস্তার সিংহভাগই ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে

মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম:

ফের দখলে চলে গেছে নগরীর সব ফুটপাত। বিভিন্ন রাস্তার সিংহভাগই ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে রয়েছে। ফুটপাত জুড়ে হাট-বাজার বসিয়ে অবাধে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ভাসমান ব্যবসায়ী ও হকাররা। এসব হকারদের পুনর্বাসনে সিসিক ও এসএমপি উদ্যোগ নিলেও তা কোন কাজেই আসেনি। উল্টো আগে তাদের অবস্থান বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার সহ কিছু এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিলো এখন তা তালতলা ও ক্বিনব্রিজের উপর পর্যন্ত এসে ঠেকেছে।

হকাররা রাস্তা ও ফুটপাতের উপর মালামাল রেখে বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে গেলেও প্রশাসন এক্ষেত্রে রয়েছে নিরব। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হলেও তাতে দৃশ্যমান কোন ফলাফল লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এতে করে নগরবাসীর ভোগান্তি লেগেই আছে।

জানা যায়, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ডিসেম্বরে হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য সিসিক ও এসএমপি যৌথভাবে কাজ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে লালদীঘির পাড় খালি মাঠে ১ হাজার ৭০ জন হকারকে পুনর্বাসন করা হয়। এতে সিসিকের ব্যয় হয় প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এতে প্রাধান্য পান বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কের হকাররা। এমনকি হকারদের ফুটপাতে আর না বসার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু নগর কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দেশনাই কাজে আসেনি। তাদের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হকাররা ফের নগরীর ফুটপাত দখল করে নিয়েছে।

নগরীর বন্দরবাজার, সুরমা মার্কেট এলাকা, ক্বিনব্রিজ, সিটি মার্কেট এলাকা, কোর্ট পয়েন্ট হয়ে জিন্দাবাজার এবং জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা হয়ে আম্বরখানা পয়েন্ট, সুবিদবাজার, লামাবাজার, রিকাবীবাজার, শিবগঞ্জ, মিরাবাজার পুরো ফুটপাত আবারও চলে গেছে হকারদের দখলে। হকাররা সড়কের উপর বিভিন্ন জিনিসপত্র ছড়িয়ে রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। তাদের এ ব্যবসার পসরার কারণে ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশু পথচারীরা বিড়ম্বনার মুখোমুখি হচ্ছেন।

সরেজমিনে নগরীর বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতের পাশেই খুঁটিতে ‘হকারমুক্ত এলাকা’ ‘ হকার বসা নিষেধ’ সাইনবোর্ড টাঙানো থাকলেও সেই খুঁটির পাশেই নানা ধরণের পণ্যসামগ্রী নিয়ে বসে আছেন হকাররা। সিসিক মেয়র বা পুলিশের গাড়ির হুইলসেলের শব্দ শুনলেই দৌঁড় দিয়ে সবকিছু নিয়ে ঘা ঢাকা দেয় হকররা। গাড়ি যাওয়া মাত্র সেই আগের দৃশ্য দেখা যায়।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান সিলেট প্রতিদিনকে বলেন, হকারদের পুনর্বাসনে এসএমপির সহযোগিতায় সিসিক জায়গা করে দিলেও সেখানে তারা থাকেনি। এখন পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন মিলে তাদেরকে বুঝিয়ে একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করা যেতে পারে।