• ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও ভাড়াটিয়াকে জোরপূর্বক দোকান ছাড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ৩, ২০২২
মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও ভাড়াটিয়াকে জোরপূর্বক দোকান ছাড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ

একুশে নিউজ ডেস্ক : সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের লন্ডন ম্যানশনে মো. শাহীন নামের একজন ব্যবসায়ীর দোকান ভাড়া চুক্তি পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই জোরপূর্বক তাকে দোকান থেকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় বৈধ ভাড়াটিয়াকে কাবু করতে ২ এপ্রিল দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার বাসিন্দা বর্তমানে নাইওরপুলের বঙ্গবীর ১১৪নং বাসায় বসবাসরত ব্যবসায়ী মো. শাহীন এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী (নং ১১৭, তাং- ০২/০৪/২০২২) ও একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাছাড়া সহযোগিতা চেয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবরেও এ ব্যাপারে একটি আবেদন প্রদান করেছেন।

শাহীন আহমদের উপরোক্ত মামলা, জিডি এন্ট্রিও মেয়রের কাছে প্রদত্ত আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর লন্ডন ম্যানশনের চন্দ্রা ফ্যাশন এন্ড বেবী বাজার নামক একটি দোকান কোঠা দোকানের মালিক মিপুর কাফরুলের ১৫নং সেকশনের ডি ব্লকের ৮/২০নং বাসার বাসিন্দা মৃত আবদুল জলিলের ছেলে মো. আব্দুল হাই এর কাছ থেকে ৩ বছর মেয়াদের জন্য লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ভাড়া গ্রহণ খরেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দোকানের ৩ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে। চুক্তি অনুযায়ী আব্দুল হাইকে অগ্রীম ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। দোকানের মালিক ভাড়া ৭০ হাজার টাকা সাব্যস্থ করা হয়। শর্ত অনুযায়ী প্রতি মাসের ভাড়ায় অগ্রীম প্রদত্ত ১০ লাখ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা কর্তন হবে। দোকান কোঠা ভাড়া নিয়ে যথারীতি দোকান পরিচালনা করে আসার মাঝে ২/৩ মাস পূর্বে হঠাৎ করে মো. শাহীনকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর দোকান কোঠা ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন উক্ত আবদুল হাই। তখন মো. শাহীন বলেন, দোকান ভাড়া চুক্তি অনুযায়ী আরো ৯ মাস মেয়াদ আছে। তাহলে কিভাবে দোকান ছাড়বো। এতে উত্তেজিত হয়ে আবদুল হাই তার কথামতো দোকান কোঠা ছেড়ে না গেলে মো. শাহীনকে জোর করে দোকান থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। মো. শাহীন জানান দোকানে ৩০/৩৫ লাখ টাকার মালামাল রয়েছে। হঠাৎ করে তিনি কিভাবে দোকান কোঠা ছাড়বেন। এ অবস্থায় ১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আবদুল হাই অজ্ঞাতনামা ৮/১০কে নিয়ে এসে মো. শাহীনের বাবা মো. আবদুল বারেক-কে মারধর করেন এবং তার বাবার পকেট থেকে দেড়লাখ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন। এ সময় অপর এক ব্যক্তি মো. শাহীনের দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে যায়। তারা মো. শাহীনকে হুমকি দিয়ে বলে তাকে সিলেটের কোথাও ব্যবসা করতে দিবেনা এবং জোর পূর্বকভাবে দোকান থেকে বের করে দেবে বলেও শাসিয়ে যায়।

সিসিক মেয়র বরাবরে প্রদত্ত আবেদন মো. শাহীন বলেন, আমার দোকানের মেয়াদ এখনও চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রয়েছে। এখন দোকানের জমিদার এবং লন্ডন ম্যানশনের কমিটি মিলে আমার দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। করোনা সহ ব্যবসায়ী মন্দার কারণে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। সম্প্রতি দোকানের হোল্ডিং ট্যাক্স বাবত ১৪ হাজার ৫’শ ৬০ টাকা পরিশোধ করেছি। সেই টাকাও জমিদার আমাকে দেননি। তাছাড়াও ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য মার্কেটে টয়লেটের কোন ব্যবস্থা নেই। সিটির অনুমোদন ছাড়াই ছাদের উপরে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।যেখানের কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা না থাকলেও দোকানের সামনে ক্রেতাদের চলাচলের আঙ্গিনায় গাড়ি পার্কিং জোন বানিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়। ইলেকশন নেই সিলেকশনের মাধ্যমে মার্কেটের কমিটি গঠন করা হয়।

দোকানদারদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩’শ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়, কিন্তু কোন উন্নয়ন হয়না।