স্টাফ রিপোর্টার::
সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন সাহেবের বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক পল্লী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। নিহত ডা. মো. নিজাম উদ্দিন বাজারতল গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সাহেবের বাজার এলাকার সাতগাছি গ্রামের রাস্তার সামনের ভূমি নিয়ে নিজাম উদ্দিন ও নয়ন গংদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। শনিবার (৯ এপ্রিল) ভোর ছয়টার দিকে নয়ন পক্ষের লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে ধান কাটতে যায়। খবর পেয়ে নিজাম উদ্দিন ও তার ভাই আকরাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌছালে উপর পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ।
সংঘর্ষে ১৫ জন গুরুতর আহত হন। তারা হলেন, আকরাম উদ্দিন (৪৫) ফয়ছল (২৬), ফয়েজ (৫০), ছগন (৫৫), ইসলাম (২৮), সালমান (২৫), জাকির (৩৫)। বাকীদের নাম পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন, আজিজুর রহমান (৪২), ছয়ফুল আলম (৪০), মকবুল মিয়া (৪১) ও সমছুল আলম (৪২)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মো. মাইনুল জাকির। তিনি জানান, নিজাম উদ্দিনের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুই একর জমি নিয়ে পল্লী চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন ও একই এলাকার নয়ন মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি মিমাংসার জন্য এলাকায় সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিস থেকে দুই পক্ষকেই ওই জমি চাষাবাদে বিরত রাখা হয়। সালিশকারকরা নিজেদের মানুষ দিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন।
সিদ্ধান্ত হয়, যে পক্ষ সালিশে জমির মালিকানা পাবে তারা ফসল নিবে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার (৯ এপ্রিল) সেহরির পরে অর্ধ শতাধিক লোক নিয়ে নয়ন মিয়া পক্ষ বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটতে যান। খবর পেয়ে পল্লী চিকিৎসক আকরাম উদ্দিন ও অপর ভাই পল্লী চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন তার আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে ধান কাটতে বাধা দেন।
এসময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মো. নিজাম উদ্দিন। গুরুতর আহত হয়েছেন আকরাম উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন। খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।