• ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মৌলভীবাজারে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীর ভিড়

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ১৯, ২০২২
মৌলভীবাজারে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীর ভিড়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি::

মৌলভীবাজারে বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই ডায়রিয়ায় প্রকোপে শিশুসহ সব বয়সীদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। জেলার ৭ উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে ৩৩ জন।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৩ জন, গত রোববার ভর্তি হয় ৪০ জন।

এর মধ্যে ১৮ এপ্রিল মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১, রাজনগরে ২, কুলাউড়ায় ৩, বড়লেখায় ৪, কমলগঞ্জে ৫, শ্রীমঙ্গলে ৫ ও জুড়ি উপজেলায় ৩ জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ১৩ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৯৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া গত সাড়ে তিন মাসে জেলায় ডায়রিয়ায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৯৬৮ জন। সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৮৯৩ জন।

জেলা সদর হাসপাতালে রাজনগর উপজেলা থেকে শিশুকে নিয়ে এসেছেন দুর্গা দেব। উদ্বিগ্ন কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘তিন দিন আগে পাতলা পায়খানা হয়। স্থানীয় চিকিৎসক দেখিয়েছি। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতাল আসি। এখন আমার বাচ্চার অবস্থা ভালো।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে হাসপাতালে এসেছেন রিতা বেগম। তিনি বলেন, ‘বাচ্চার ডায়রিয়া হওয়ার পর ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাওয়াই। পরে বমি হতে থাকলে আমি হাসপাতালে ভর্তি করাই।’

কমলগঞ্জের মৃত্তিঙ্গা চা-বাগানের অনিল গড় বলেন, ‘আমার ছয় বছরের শিশু চার দিন আগে হঠাৎ বমি শুরু করে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার চিকিৎসা চলছে।’

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স কল্পনা দত্ত বলেন, ‘হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও শিশু বিশেষজ্ঞরা ডায়রিয়া ওয়ার্ড এসে পরিদর্শন করে গেছেন। গরমের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। হাসপাতালে আগতদের সব ধরনের সেবা দিচ্ছি।’

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জেলায় ডায়রিয়া প্রকোপ বেড়েছে। বাইরের খাবার খাওয়া ও দূষিত পানি পান করার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের পর্যাপ্ত ওষুধ, স্যালাইন মজুত রয়েছে। আমরা সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম।’

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ পরামর্শ দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যায়। ফলে মানুষ পুকুর, নদী-নালার দূষিত পানি পান করেন। এতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। সব ধরনের পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেন তিনি।