স্পোর্টস ডেস্ক::
চলতি বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৭৭৪ রানের মালিক লিটন দাস। তিনি উইকেটে আসতেই পাঁচজন স্লিপ ফিল্ডার নিলেন কাসুন রাজিথা। উড়ন্ত ফর্মে থাকা একজন ব্যাটারের বিপক্ষে পাঁচ ফিল্ডার নেওয়ার সাহসিকতা দেখানো নিশ্চিতভাবেই সহজ কাজ নয়।
রাজিথা সেটিই করতে পেরেছেন বাংলাদেশের টপঅর্ডারের ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো।
ইনিংসের সাত ওভারের মধ্যে মাত্র ২৪ রানেই প্রথম ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা। অবশ্য এমন অবস্থার সঙ্গে আগেই পরিচিত টাইগাররা। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এর আগেও সাত ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরেছেন প্রথম পাঁচ ব্যাটার।
প্রায় দেড় যুগ আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে ৪.৫ ওভারের মধ্যে মাত্র ১৪ রানে পড়েছিল বাংলাদেশের পাঁচ উইকেট। আজ ৬.৫ ওভারে ২৪ রানে ফিরেছেন প্রথম পাঁচ ব্যাটার। রানের খাতাই খুলতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় সাত বছর পর প্রথম সাত ওভারের মধ্যে পড়লো পাঁচ উইকেট। এর আগে ২০১৫ সালের অ্যাশেজের নটিংহ্যাম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬.১ ওভারে ২৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেদিন স্টুয়ার্ট ব্রডের (১৫ রানে ৮ উইকেট) তোপে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায় অসিরা।
এদিকে আজকের ২৪ রানের চেয়েও কমে বাংলাদেশের ৫ উইকেট হারানোর নজির মোট তিনটি। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ১৪ রানে, চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথে ১৮ রানে এবং ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগায় ১৮ রানে পড়েছিল ৫ উইকেট।
সেই তিন ম্যাচে যথাক্রমে ১৬৯, ৫৩ ও ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অলআউট হওয়া ৪৩ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বনিম্ন। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৩ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।