
পংকজ শর্ম্মা: বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র-এবং দেশে সকল ধর্মালম্বী মানুষ থাকার অধিকার আছে সমান ভাবে। কিন্তু আমরা যদি বিশেষভাবে আমাদের হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষদের দিকে থাকাই তাহলে তাহাঁরা কেউ ভালো নেই। নানা সময় নানাভাবে আক্রান্ত হতে হয় উগ্র কতিপয় মুসলমানদের কাছে। আমি বলতে চাচ্ছি- দেশের সকল মুসলিম নয় তাঁদের মধ্যে কতিপয় কটুরপন্থী মুসলমানদের কথা। স্বাধীনতা পর এখন পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের লোকজনের উপর আক্রমনের কথা হিন্দু কারো সম্পত্তি দখল এবং কারো আঘাত করতে হলে তাদের উপর কটুরপ্রন্থীরা ধর্মীয় অবমাননা ও মহানবী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে স্যোসাল মিডিয়া ও এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মুসলমানদের একত্রিত করে আক্রমন চালায় এই সকল হিন্দু পরিবারের উপর এবং সহজে হিন্দু পরিবারকে এলাকা ছাড়া করে তাঁর সর্বত্র কেড়ে নেয়। কাউকে প্রাণে মেরে ফেলে নয়তো জেলে যেতো হয় নয়তে দেশ ছাড়তে হয় নয়তো মুসলিম হতে হয়। এবং কটুরপন্ত্রীরাদের ফলে হিন্দুরা ভয়ে চুপ হয় যায়। কট্টরপ্রন্থীর মুসলিম যাঁরা আছে তারা মুসলমানদের বুঝায় বিধর্মীদের সাথে মিলামেশা করবে না। কারন তারা মালাউন মূর্তিপুজারী। আমাদের এদেশ মুসলমানদের দেশ আর মুসলমানদের জমিনে মূর্তি পূজা হতে পারে না এবং তারা গান বাজনা করে তা করতে দেওয়া যাবে না। এবং কাউকে যদি তোমরা মুসলমান বানাতে পারো তাহলে তোরা যেহেশতে চলে যাবে। এই সকল বলে ‘সাধারণ মুসলিমদের উস্কিয়ে দেয় তারা। সাধারন মুসলিমদের দিয়ে হিন্দু পরিবারের মেয়েদের জোরপূর্বক উঠিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ চালায় এবং তাঁদের নির্যাতন চালায় এবং মেয়েদের ভয় দেখিয়ে হলে তুই মুসলমান না হলে তোমার পরিবার এবং তকে শেষ মেরে ফেলবে। অবশেষে মুসলমান বানিতে নেয়।
বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় তাদের ওয়াজ মাহফিল হয়। কিন্তু দেখা যায় এই সকল ওয়াজ মাহফিলে কতিপয় কটূরপন্থী বক্তা আসে যারা তাদের ওয়াজের নাম করে অন্যন্যা ধর্মালম্বীদের কটুক্তি করে ওয়াজ করে। যার ফলে দেখা যায় পরবর্তী ঐ এলাকার ওয়াজের পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ এলাকার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ধর্মালম্বী কেউ আর শান্তিতে থাকতে পারে না তাদের দেখলে মালাউন বলে আখ্যা দিতে দিয়ে লাগতে থাকে। বাংলাদেশে হিন্দুরা কোন সময় ভালো নেই। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নানা সময় নানান প্রতিকূলতার মধ্যে দিতে যেতে হচ্ছে। কখন তাদের বাড়ি ভাংচুর, সম্পতি, দখল, দেশ ছাড়া, মন্দির ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, লুটচুরী, প্রত্যায় আক্রমন, মূর্তি ভাংচুর, জোরপূর্বক সম্পত্তি দখন এসবের শিকার হতে হয়। আর কোন নির্বাচন আসলে এটা আরো বেশী বেড়ে নির্যাতনে পরিমাণএবং হিন্দুদের শারদীয় দূর্গাপ্রজা উৎসব শুরু হলে এই কট্টরপন্থী সারা দেশে হিন্দুদের উপর নৈরাজ্য চালায়।
দেবী মুর্তি ভাংচুর অগ্নিসেংযোগ, বসতবাড়িতে আক্রমণ এই দেশে যে সরকার ক্ষমতায় আসুক না কেন কোন সরকার হিন্দুদের রক্ষার্থে কাজ করে না। যাঁর ফলেশ্রুতিতে এই সকল কর্মকান্ড এরা বেঁচে যায়। কারণ তাদের কারো বিচার হয়নি এবং তাদের শাস্তির আওতায় নেয়া হয়নি কখনও এবং যার ফলে এই সকল কাজ করতে তারা দ্বিধাবোধ করে না। আরো বেশী একটি যার ফলে দেশে বছরের পর বছর হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেউ দেশ ছাড়ছে, নয়তো কেউ ভয়ে মসলিম হচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ স্বাধীনতা যুদ্ধের হিন্দুর পরিমান ছিল ৩৭% এখন দাঁড়িয়েছে জন পরবর্তী ৭% বা তার কম। তাই আমি লেখনীর মাধ্যমে দেশের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে হিন্দুর রক্ষার্তে এবং তাদের মৌলিক গুলোর রক্ষার্থে তাদের বিরোদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে হিন্দুরা ভালো থাকতে পারে।
পংকজ শর্ম্মা
লেখক ও কলামিস্ট
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট
সুনামগঞ্জ জেলা